আরজি কর মেডিকেল কলেজ ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ আগস্ট রাত্রিবেলায় পথে নেমেছিল অনেকেই। এই ঘটনার প্রতিবাদে জমায়েত হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। সেই রাত্রে একটি জমায়েত ও প্রতিবাদ সভা করা হয় আরজি কর মেডিকেল কলেজের সামনে। প্রতিবাদ সভার কিছু পর থেকেই শুরু হয়ে যায় উৎশৃঙ্খলতা, ১৪ অগাস্ট রাতে কে বা কারা আরজিকর হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে, তা নিয়ে সমালোচনার ঢেউ উঠতে শুরু করে। ১৪ অগাস্ট মধ্যরাতে আরজিকরের নির্যাতিতা চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে যখন প্রতিবাদে নামেন কয়েক হাজার মানুষ, সেই সময় হাসপাতালে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা।
তারাই আরজিকরে ঢুকে এমার্জেন্সি বিভাগে ভাঙচুর চালায়। পুলিশকে এবং সাধারণ মানুষকে দেখে ইঁট ছুঁড়তে শুরু করে। যার জেরে জোর সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। আরজিকরে কে বা কারা ভাঙচুর চালায়, তাদের চিহ্নিত করে খোঁজ দেওয়ার কথা জানায় কলকাতা পুলিশ। আরজিকরের ঘটনায় এরপর ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। কলকাতা পুলিশ জানায়, আরজিকরে ভাঙচুরকাণ্ডে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ৫ জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন খবর মেলে সামাজিক মাধ্যমে। অর্থাৎ ওই ৫ জনকে ধরতে পুলিশকে সাহায্য করে সামাজিক মাধ্যম। সাধারণ মানুষ যে তাঁদের উপর আস্থা এবং ভরসা রেখেছেন, তার জন্য প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানানো হয় কলকাতা পুলিশের তরফে।