২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বেঙ্গালুরু এফসি। সর্বপ্রথম ক্লাব হিসাবে কর্পোরেট বিডের মাধ্যমে সরাসরি আই লিগে সুযোগ পায় তারা। ক্লাব প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে সেই বছরই অ্যাকাডেমিও উদ্বোধন করে তারা। এই অ্যাকাডেমিতেই সর্বপ্রথম ব্যাচে মাত্র ৮ বছর বয়সে ফুটবলের পাঠ নেওয়া শুরু করেন স্থানীয় এক বালক। তারপর এই ছেলেটিই ধীরে ধীরে ঐ অ্যাকাডেমির বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে উন্নীত হয়ে শেষে গতবছর চলে আসেন ক্লাবের ‘বি’ দলে। গতবছর তাঁরই অধিনায়কত্বে বিডিএফএ সুপার ডিভিশন (বেঙ্গালুরু লিগ) চ্যাম্পিয়ন হয় বেঙ্গালুরু এফসি ‘বি’। তারপর আরএফডিএলেও রিজার্ভ দলের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের জেরে এই মরসুমে তাঁর অন্তর্ভুক্তি ঘটে বেঙ্গালুরু এফসি-র প্রথম দলে। এবার ডুরাণ্ড কাপে বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে পেশাদার কেরিয়ারে অভিষেকেই চমৎকার পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়েছেন এই ছেলেটি।
গ্রুপ পর্বে মোহামেডানের বিরুদ্ধে অভিষেকে গোল করার পর সেমিফাইনালে দল হারলেও মোহন বাগানের বিরুদ্ধে গোল করে আইএসএলের দলেও তিনি জায়গা করে নেন। গতকাল ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আইএসএলের অভিষেকেও গোল করে দলকে জয় এনে দিলেন তিনি। তিনি হলেন বিনীত বেঙ্কটেশ। তিনিই সম্ভবত প্রথম ফুটবলার যিনি কলকাতার তিন প্রধানের বিরুদ্ধে নিজের প্রথম ম্যাচেই গোল পেলেন। আইএসএলের নতুন হোম গ্রোণ নিয়মের সুফল হতে চলেছেন এই বিনীত বেঙ্কটেশরা। এই নিয়মের সুবিধা নিতে আইএসএল ক্লাবগুলিও এখন উৎসাহিত হবে যুব বিকাশ পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়নে। বিনীতের এমন উত্থান অবশ্যই কর্নাটকের যুব ফুটবলারদের অনুপ্রাণিত করবে।