শীতের আগমনে বাজারে নতুন নতুন মিষ্টি দেখা যায়। তবে, শীতের মিষ্টির রাজাといえば、কুমড়োর পায়েশ বাদ দেওয়া যায় না। মিষ্টি কুমড়ো দিয়ে তৈরি এই পায়েশ সকলের কাছেই অত্যন্ত জনপ্রিয়।
ইতিহাস:
কুমড়োর পায়েশের উৎপত্তি বাংলাদেশে। শীতকালে প্রচুর পরিমাণে কুমড়ো পাওয়া যায়, তাই এই মৌসুমে কুমড়োর পায়েশ খাওয়ার রীতি প্রচলিত।
প্রস্তুত প্রণালী:
কুমড়োর পায়েশ তৈরি করা তুলনামূলক সহজ। প্রথমে, কুমড়ো ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এরপর, দুধে চিনি দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। দুধ ফুটে ঘন হয়ে এলে কুমড়োর টুকরো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে। এরপর, কাজু, কিশমিশ, বাদাম দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
পরিবেশন:
কুমড়োর পায়েশ সাধারণত গরম অথবা ঠান্ডা করে পরিবেশন করা হয়।
পুষ্টিগুণ:
কুমড়োর পায়েশ ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিনের একটি ভালো উৎস। এতে ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারও থাকে।
উপসংহার:
মিষ্টি, সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর কুমড়োর পায়েশ শীতের মৌসুমের একটি অপরিহার্য খাবার। তাই, আজই বানিয়ে ফেলুন ঘরে তৈরি কুমড়োর পায়েশ এবং উপভোগ করুন আপনার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে।