১০ জুলাই ছিল পশ্চিমবঙ্গে চার কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচন। ১৩ জুলাই উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রানাঘাট, বাগদা, মানিকতলা ও রায়গঞ্জ এই চারটি কেন্দ্রেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। উপনির্বাচনে সদ্য জয়ী চার জন তৃণমূল প্রার্থীর শপথ নিয়ে আর কোন রকম জটিলতা চাইছে না নবান্ন। দ্রুত নবনির্বাচিত চার বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাতে চাইছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়। এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে পরিষদীয় দফতর চিঠি পাঠাতে চলেছে রাজভবনে। সেই চিঠিতে তৃণমূলের চার জয়ী প্রার্থীর বিধায়ক হিসাবে শপথগ্রহণের জন্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে দ্রুত উদ্যোগী হতে অনুরোধ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি, বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা চলেছে। রাজ্য-রাজভবন ও বিধানসভার মধ্যে সংঘাতের জন্য শপথগ্রহণ পর্ব নিয়ে তৈরি হয়েছিল নানা জটিলতাও। প্রবল বিতর্কের মধ্যে দিয়ে রাজভবন শেষ মুহূর্তে বিধানসভার উপাধ্যক্ষকে শপথ করানোর আনুমতি দিলেও, অধিবেশন চলাকালীন তিনি জানিয়েছিলেন দায়িত্ব নিতে তিনি অপারগ। তাই অধ্যক্ষ শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন।
এবার রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তাতে জিতে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের চার বিধায়ক। তাই তাঁদের শপথ ঘিরে যাতে জটিলতা তৈরি না হয়, সেদিকে নজর রয়েছে প্রশাসনের। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বিধানসভার বাদল অধিবেশন বসতে পারে। তার জন্য গত শনিবারই তৃণমূল পরিষদীয় দল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কাছে অধিবেশন বসানোর অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে। এর মধ্যে রাজভবনের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে গেলে এই বাদল অধিবেশনেই চার বিধায়কের শপথ পর্ব সেরে ফেলতে পারেন অধ্যক্ষ। ১৫ জুলাই অর্থাৎ সোমবার পরিষদীয় দফতর থেকে চিঠি দিয়ে রাজভবনকে বিধায়কদের শপথগ্রহণের ক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে আবেদন করা হবে বলেই জানানো হয়েছে।