২৫ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবার পুরপ্রধান, রাজ্যের মন্ত্রী এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর সরকারি জমি দখলদারি রুখতে জারি হল ছয় দফা নির্দেশিকা। জেলায় জেলায় নির্দেশিকা পাঠাল নবান্ন। কী আছে এই ছয় দফা নির্দেশিকায়? কী কী নির্দেশ দেওয়া হল জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের? নবান্ন সূত্রে খবর, ছয় দফা এই নির্দেশিকায় জমি দখল বন্ধ করতে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনামায় যা যা আছে সেগুলি হল :
প্রথমত, বিএলআরও, ডিএলআরও অফিসের সামনে দালাল চক্রের ঘোরাফেরা বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড লাগাতে হবে। তৃতীয়ত সাইনবোর্ডে লিখতে হবে “এই জমির মালিক রাজ্য সরকার”। চতুর্থত, কিছুদিন অন্তর অন্তর নিয়মিত সরকারি জমি পরিদর্শন করতে হবে আধিকারিকদের। পঞ্চমত, পরিদর্শনের সময় প্রতিনিয়ত জমি ও জলাশয়ের ছবি বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে তুলে রাখতে হবে। ষষ্ঠত, জেলাশাসক ও এডিএম ল্যান্ডদের এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে যাতে তারা এ বিষয়ে কড়া নজরদারি রাখতে পারে। নবান্নের তরফে এমনটাই সূত্র মারফত খবর।
বৈঠকে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ল্যান্ড)দের কড়া বার্তা দিয়ে দফতরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থের মন্তব্য ছিল “দফতরের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। এইগুলো আপনারা খেয়াল রাখুন। ভেস্টেড ল্যান্ডকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। ভেস্টেড ল্যান্ডের অধীনে থাকা অনেক সরকারি জমির পুকুর ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগগুলো কেন আসবে? অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গেই পদক্ষেপ নিতে হবে।” সোমবার দুপুরের ভার্চুয়ালি বৈঠক থেকে নবান্নের শীর্ষ পর্যায়ের আধিকারিকরা একাধিক নির্দেশ দেন, এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর। এরপরেই মঙ্গলবার জেলায় জেলায় পৌঁছল বিশেষ নির্দেশনামা।