প্যারিস অলিম্পিক্সের ফাইনালে উঠেও পদক জয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকেছে ভিনেশ ফোগাটের। শরীরে ওজন সামান্য বেশি থাকার জন্য ফাইনাল ম্যাচের আগে তাঁকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দেশে ফিরে সোনার পদক পাচ্ছেন ভিনেশ। অলিম্পিক্সে পদক জিততে না পারলেও সোনার পদক উপহার হিসেবে পাচ্ছেন ভিনেশ। দেশে ফেরার পর পদকজয়ীদের যেভাবে বরণ করে নিয়েছিলেন দিল্লির ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ, ঠিক একইভাবে রাজকীয়ভাবেই স্বাগত জানানো হয় ভিনেশকেও।
ভারতের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে অলিম্পিক্সের ফাইনালে ওঠেছিলেন ভিনেশ। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে হরিয়ানায় তাঁর গ্রাম সর্বত্রই ভিনেশকে ঘিরে চলে উচ্ছাস ও উন্মাদনা। হরিয়ানার খাপ পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আগামী ২৫ অগাস্ট রোহতকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে ভিনেশ ফোগাটকে। এই সংবর্ধনায় ভিনেশকে সোনার পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অলিম্পিক্সের মতোই ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম ওজন হবে পদকের। খাপ পঞ্চায়েতের সভাপতি তথা বিধায়ক সোমবীর সাঙ্গয়ান একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘যেভাবে ১০০ গ্রাম ওজন শরীরে বেশি থাকার জন্য একজন কুস্তিগীরকে বাতিল করা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ভিনেশ অলিম্পিক্সের মতোই সোনার পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ভিনেশ ফোগাট প্যারিস অলিম্পিক্সে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। টোকিও অলিম্পিক্সের সোনাজয়ী জাপানের কুস্তিগীরকে হারিয়ে প্যারিসে যাত্রা শুরু করেন। একের পর এক প্রতিযোগীকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়ে পদকও নিকশ্চিত করেন। কিন্তু ফাইনালের আগেই শরীরে অতিরিক্ত ওজনের জন্য তাঁকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। দেশে ফিরে নিজের অসবর ভেঙে ফেরা নিয়ে ধোঁয়াশা রেখেছেন ভিনেশ। গ্রামে ফিরে ভিনেশ বলেন, ‘দেশবাসী আমাকে যে সাহস দিয়েছেন আমি তা সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আমি কুস্তির একটি অংশ (লড়াই) অতিক্রম করেছি কিন্তু তাও সম্পূর্ণ করা যায়নি। এটি একটি দীর্ঘ লড়াই, আমরা গত এক বছর ধরে এটি লড়াই করে আসছি এবং এটি অব্যাহত থাকবে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি সত্যের জয় হোক।’