৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নেমেছে রাজ্যসহ সারা দেশ। সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অগ্রগতি দেখা যায়নি। দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষে দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠছে সব মহলে। সেইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। বিচার চেয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’ নামে তথাকথিত অরাজনৈতিক সংগঠন। তবে তাদের নেপথ্যে বিজেপি-আরএসএস যোগ ইতিমধ্যেই স্পষ্ট। পুলিশের অনুমতি ছাড়া এই কর্মসূচির আড়ালে রাজ্যকে অশান্ত করার ছক রয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। তাই পুলিশ অশান্তি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করেছে। ট্রাফিক সমস্যা এড়াতে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে লালবাজারের। ইতিমধ্যে নবান্নে প্রবেশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
নবান্ন অভিযান শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন স্থান থেকে। মঙ্গলবার সকালে নবান্নে আসার পথে মেদিনীপুররে বিজেপি জেলা সভাপতিকে আটক করল পুলিশ। নবান্ন অভিযানে শামিল হতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগর থেকে নদীপথে রওনা দিলেন কয়েকশো ছাত্র-ছাত্রী। সঙ্গে ছিলেন অভিভাবকরাও। ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কলকাতামুখী হয়েছে প্রতিবাদীরা। অন্যদিকে জানা গিয়েছে প্রতিবাদী মিছিলের চারজন ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। এবং এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী তার টুইটারের মাধ্যমে জানিয়েছেন, এই চার ছাত্রকে ‘মমতার পুলিশ’ গ্রেফতার করেছে। সাঁতরাগাছি থেকে জমায়েতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। বারে বারে বিক্ষোভ কারীদের সঙ্গে বচসাতে জড়িয়ে পড়ছে রাজ্য পুলিশ। শুভেন্দু অধিকারীর টুইটারের উত্তরে সোশাল মিডিয়া পোস্টে রাজ্য পুলিশ জানায়, অশান্তি বাঁধানোর ছক কষেছিল সেই চার ছাত্র। তাই তাদের গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ।