মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশের সরকারি জমি জবরদখলের কাজ শুরু হয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। সোমবার নবান্নে বৈঠক হয়েছিল। তারপর দিন, মঙ্গলবারই কলকাতা শহরজুড়ে বিভিন্ন থানার পুলিশ সহ পৌরসভার আধিকারিকরা ফুটপাত জাবরদখল মুক্ত করতে বিসিএস ড্রাইভ চালাচ্ছেন। ফুটপাতের দোকান মালিকদের নির্দেশ দিচ্ছেন ফুটপাত জবরদখল মুক্ত করতে হবে। একই ছবি দেখা যাচ্ছে সল্টলেক বা বিধাননগর পুরসভা এলাকায়।
কলকাতা, যাদপুর, এসএসকেএম হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় ফুটপাথ মুক্ত করার কাজ চলছে। সল্টলেকের কলেজ মোড় এলাকাতেও দেখা গেছে একই ছবি। মূলত এই এলাকাগুলিতে একাধিক অফিস রয়েছে , অফিসে কর্মরত কর্মচারীরা এইসব ফুটপাতের দোকান থেকেই তাদের খাবার গ্রহণ করেন। সেই ফুটপাতের দোকানগুলিকে সরিয়ে ফেলতে হবে , ফুটপাত জবরদখল করা যাবে না সাধারণ মানুষকে ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে দিতে হবে সহ একাধিক নির্দেশিকা দেয়া হল ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ আধিকারিকদের তরফে।
তবে হঠাৎ করেই সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করায় বিপাকে পড়েছেন ফুটপাথের ব্যবসায়ীরা। এই ঘটনাকে ঘিরে আচমকাই তাদের জীবনে অন্ধকার নেমে আসতে পারে। কারণ ফুটপাথের পসরা সাজিয়ে তাঁরা ব্যবসা করেন। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের পেট চালাতে পারে। কিন্তু সেই দোকান বন্ধ হয়ে গেলে তাদের ও পরিবারের সদস্যদের খাবার যোগান বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক ব্যবসায়ীই বলেছেন, সংসার চালাতে তাদের চুরিচামারি করতে হবে। এভাবে তুলে দেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি ফুটপাথ-ব্যবসায়ীদের কথায় তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক। তারপরই তাদের দোকান তুলে দেওয়া হবে। সব হারানো ফুটপাথবাসীদের কথায় তাদের কোথাও পুনর্বাসন দেওয়া হোক। পাশাপাশি তাদের কথায় এতদিন তাদের দোকানে যারা খাবার পেতেন তাদেরও সমস্যায় পড়তে হবে। তারা অল্প পয়সায় খাবার বিক্রি করতেন। কিন্তু এবার ক্রেতাদের অনেক বেশি টাকা দিয়ে খাবার কিনে খেতে হবে।