১৪ আগস্ট আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে সারা রাজ্য জুড়ে রাস্তায় নাম হাজার হাজার মানুষ। বুধবার অর্থাৎ ১৪ আগস্ট গোটা রাত জেগেছিল শহর কলকাতা। আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল রাজ্যের কোণায় কোণায়। রাতের দখল নিয়েছিল মেয়েরা। সচেতন নাগরিকরাও পথে নেমেছিলেন অনেকেই। সেই রাতেই আরজি কর হাসপাতালে বহিরাগতদের তাণ্ডব চলে। ভাঙচুর চলে সরকারি হাসপাতালে। আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর হয়েছে সেই রাত্রেই। সরকারি হাসপাতালে বহু লোক ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে বুধবার গভীর রাতে। ‘পুজোর অনুদানের টাকা দিতে হবে না। হাসপাতাল সারানোর জন্য টাকা দেওয়া হোক।’ বৃহস্পতিবার রাতে এই বার্তা দেওয়া হল আরজি কর হাসপাতাল থেকে।
বৃহস্পতিবার রাতে আরজি কর গিয়েছিলেন টলিউডের বহু পরিচিত মুখেরা। সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, শোলাঙ্কি রায়, অলিভিয়া সরকার, সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, লগ্নজিতারা উপস্থিত হয়েছিলেন হাসপাতাল চত্বরে। রাতেও জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল সেখানেই, এবং সেখানেই তারা সবাই সামিল হন। আরজি কর হাসপাতালে ঠিক একদিন আগেই ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। জরুরি বিভাগ তছনছ করে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ইএনটি বিভাগ অবধি ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানা যায়। হাসপাতালে সেই সব অংশে এখনও কিছু জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বলে জানা গিয়েছে। আন্দোলন থামবে না, চলবে। এই বার্তা জোরালোভাবে দেওয়া হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের থেকে।
বৃহস্পতিবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে গেলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকাররা। তরুণী জুনিয়র চিকিৎসকের এই ভয়াবহ মৃত্যু তাঁদেরও নাড়িয়ে দিয়েছে। বুধবার নয়, সেই কারণে পরের দিন তাঁরা হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। সেখানেই বক্তব্য উঠেছে, ‘এবার আর ক্লাবগুলোকে পুজোর জন্য সরকারি অনুদান নয়। সেই টাকা দিয়ে হাসপাতাল সারানো হোক। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা হোক। হামলার কারণে, বহু যন্ত্রপাতি, বেড, সহ অন্যান্য সরঞ্জাম নষ্ট হয়েছে। প্রচুর ওষুধপত্র নষ্ট হয়েছে। অনুদান না দিয়ে টাকা চিকিৎসা খাতে ব্যয় করা হোক। হাসপাতালকে নতুনভাবে সাজানো হোক।