আবার বাংলাকে গর্বিত করলেন ঘরের মেয়ে সায়নি দাস। ইংলিশ চ্যানেল তো আগেই জয় করেছিলেন। জিতেছিলেন আফ্রিকার দুর্গম মলোকাই চ্যানেল। এবার জিতলেন আরও এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। নর্থ চ্যানেল জয় করে নতুন মাইলফলক রচনা করলেন তিনি। শুক্রবার প্রচন্ড প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে নর্থ আয়ারল্যান্ড থেকে স্কটল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত নর্থ চ্যানেল অতিক্রমের লড়াই শেষপর্যন্ত জিতে নেন তিনি।
গভীর রাতে শেষ যখন তার খবর পাই তখন তিনি শেষ দুই মাইল অতিক্রমের জন্য প্রাণ পণ যুদ্ধ করছেন বিপরীত হাওয়া আর প্রবল ঢেউয়ের বিরুদ্ধে। বহু মানুষ প্রার্থনা করে যাচ্ছিলেন যেন সায়নি সফল হতে পারে। শনিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে খবর পৌঁছায় সায়নির জেদের কাছে হার মেনেছে যাবতীয় প্রতিকূলতা। অনেক স্থান থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে সায়নিকে। তাঁর বাবা প্রাক্তন শিক্ষক রাধেশ্যাম দাস বলেন, ‘এই জয় যে খুব সহজে এসেছে তা নয়। বরং আগের চারটি চ্যানেল জয়ের থেকেও কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়েছে সায়নীকে। তিন ঘণ্টায় মাত্র ১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পেরেছে সায়নী। এছাড়াও জলের টান ও জেলিফিসের জন্য কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে। এখন বাকি রইল সুগারু ও জিব্রাল্টার চ্যানেল।’
আর দু’টি চ্যানেল জয় করতে পারলেই সায়নীর মাথায় উঠবে ওশান সেভেন মুকুট। তাঁর সাফল্যে খুশি মনোজ সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘আমাদের গর্ব সায়ানী দাস। ওঁকে অভিনন্দন। ১৩ ঘণ্টা ২২ মিনিটে নর্থ চ্যানেল পার করেছেন। প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে নর্থ চ্যানেল পার করলেন তিনি। দেশ আপনার জন্য গর্বিত। আজ বাঙালির গর্বের দিন।’ রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন দেবনাথ সায়নীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘উনি শুধু কালনা বা পূর্ব বর্ধমানের গর্ব নন, গোটা বাংলা ও দেশের গর্ব।’ জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহারও সায়নীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।