সুপ্রিম কোর্ট গতকালই নির্দেশ দিয়ে দিয়েছিল, আর জি কর হাসপাতালে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই মতো এদিন সকালে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ-এর দুই কর্তা পা রাখলেন আর জি কর মেডিকেল কলেজে। এই ২জন মধ্যে একজন হলেন বাহিনীর ডিআইজি কে প্রতাপ সিং। তাঁর সঙ্গে আছেন আরও এক এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ দুইজনে আর জি কর পরিদর্শনে আসেন। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতেই সেখানে আসেন ২জনে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।
হাসপাতালের ইন্টার্ন, রেসিডেন্ট ডাক্তার ও সিনিয়র চিকিৎসকরা যাতে কর্মস্থলে ফিরতে পারেন, তার জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছিল শীর্ষ আদালত। সেই সূত্রেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টকে আশ্বস্ত করেছিলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে সিআইএসএফ কিংবা সিআরপিএফ জওয়ানকে আর জি কর হাসপাতালে মোতায়েন করা যাবে। বুধবার সকাল ৯টা নাগাদই আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে আধিকারিকদের নিয়ে পৌঁছে যান সিআইএসএফ-এর ডিজি কুমার প্রতাপ সিং। হাসপাতালে পৌঁছেই কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোপ্সের ডিসি কানোয়ার ভূষণের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর পর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক দ্বৈপায়ন ঘোষের সঙ্গেও আলোচনা করেন সিআইএসএফ কর্তা।
আলোচনা করার পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন অংশও ঘুরে দেখেন সিআইএসএফ কর্তা। হাসপাতালের কোথায় নিরাপত্তার জন্য কতজন জওয়ান প্রয়োজন, প্রাথমিক ভাবে সেই হিসেব করে নেন সিআইএসএফ আধিকারিকরা। হাসপাতালের কোথায় কটি গেট রয়েছে, কতগুলি বিভাগ রয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা সেরে নেন তাঁরা। হাসপাতালের কোন অংশে নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রয়োজন, তাও খতিয়ে দেখেন সিআইএসএফ আধিকারিকরা।তবে হাসপাতাল পরিদর্শন করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিআইএসএফ কর্তা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, ‘আমাদের কাজটা আমাদের করতে দিন।’