কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ছত্রছায়ায় আরজি কর হাসপাতাল। বৃহস্পতিবার থেকেই হাসপাতালের নিরাপত্তা দিতে শুরু করেছে বাহিনী। সুপ্রিম কোর্ট হাসপাতালের নিরাপত্তার জন্য বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনেই বাহিনী মোতায়েন। বৃহস্পতিবার থেকে আরজি কর হাসপাতালে মোতায়েন হবে আধাসেনা। হাসপাতালের ভিতরে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। আর বাইরে থাকবেন আধাসেনা জওয়ানরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে আগেই নিরাপত্তা বিষয়ে সেনা আধিকারিকদের বৈঠক হয়েছে। সেই মোতাবেক ২১ টি জায়গাকে বাছাই করা হয়েছে। সেই মতো সিআইএসএফ ও আধাসেনা জওয়ানরা নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে। হাসপাতালের গেটের একদম বাইরের অংশের নিরাপত্তার ভার থাকছে কলকাতা পুলিশের। বাইরের কোনও ব্যক্তিই হুট করে আর হাসপাতালের ভিতর ঢুকতে পারবে না। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিচয়পত্র নিয়ে হাসপাতালে চলাচল করতে হবে। তাদের নির্দিষ্ট পোশাক পরতে হবে। জুনিয়র, ইন্টার্ন বাদে অধ্যক্ষ বা কার্যনির্বাহী আধিকারিক বায়োমেট্রিক্স উপস্থিতি দেখিয়ে কাজ শুরু করবেন।
তিনটি শিফটে এই পাহারা চলবে হাসপাতালে। আপাতত দুই কোম্পানি জওয়ান আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। একদিনে ১৮৫ জন আধাসেনা নিরাপত্তা দেবে হাসপাতালকে। কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে হাসপাতাল। জুনিয়র চিকিৎসক, নার্সরা দাবি করেছিলেন, তারা বিপন্ন। নিরাপত্তা প্রয়োজন। পুলিশের নিরাপত্তায় মোটেও সন্তুষ্ট ছিলেন না তারা। হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা কি এবার স্বাভাবিক হবে ? কাজে ফিরবেন কি জুনিয়র চিকিৎসকরা? সেই প্রশ্ন থাকছে। দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালের কাজকর্ম সঠিক পথে হচ্ছে না। রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়েও সমস্যা হচ্ছে।