‘মানুষ ধরে নেন আমি তাঁদের জন্য ছবি বানাচ্ছি, আসলে আমি কিন্তু নিজের জন্য ছবি বানাই…’ । খুব শীঘ্রই বড়পর্দায় তিনি নিয়ে আনতে চলেছেন মৃণাল সেনকে। আসন্ন ছবি ‘পদাতিক’কে ঘিরে একদিকে যেমন দর্শকদের প্রশংসায় ভাসছেন পরিচালক তেমনই এমনও অনেক মন্তব্য উঠে আসছে যে ‘সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে নাকি যত্নের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে…’ সত্যিই কি তাই? আড্ডায় এই প্রসঙ্গটিকে একেবারেই নস্যাৎ করে দিয়ে পরিচালক বলেন, “এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। যত্ন আমার প্রতিটা ছবিতেই থাকে। এখনকার ছবিতেও আছে। বিষয়টি হল মানুষ খুব অসহিষ্ণু। দর্শক যে প্রকার ছবি ভালোবাসেন, তেমন ছবি পরিচালক না বানালেই সে নাকি আর যত্নবান নন! এটা খুবই স্বার্থপর একটা দৃষ্টিভঙ্গি। যাঁরা ‘নির্বাক’ ভালোবাসেন, তাঁরা ‘দশম অবতার’-এর মতো ছবিকে কোনও নম্বরই দিতে চান না। আর ‘দশম অবতার’-প্রেমীদের কাছে ‘নির্বাক’ জঘন্য একটা ছবি। এটা দুই গোষ্ঠীর সমষ্টিগত ফারাক। এখানে আমাকে টানার কী মানে? আমি দুই প্রকারেরই ছবি করি। আমি ‘এক্স= প্রেম’ যেমন করি, তেমনই ‘পদাতিক’ও করি, ‘অতি উত্তম’ও করি। দর্শকের যেটা পছন্দের দর্শক সেটা দেখবেন।” এই প্রসঙ্গ ধরেই সৃজিত আরও বলেন, ‘ যখন মানুষ কোনও পরিচালককে বাক্সবন্দি করতে পারেন না, তখনই এই অসুবিধের জায়গাটা আসে। আর তখনই এই অযৌক্তিক মন্তব্য গুলো উঠে আসে। তখন বিষয়টা দাঁড়ায় যে তুমি তো বক্স অফিসের রাজা, তুমি এক্সপেরিমেন্টার ছবি কেন বানাবে? মানুষ এটা ধরেই নেন যে আমি তাঁদের জন্য ছবি বানাচ্ছি। আসলে আমি শুধুমাত্র নিজের জন্য ছবি বানাই। আমার যেটা দেখতে ভালো লাগে আমি সেটাই বানাই।’ অন্যদিকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের একদল ভক্তদের মতামত ‘নির্বাক’-এর মতো ছবি তাঁর কাছ থেকে এখন আর পাওয়া যায় না। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তিনি কি ‘প্লে টু গ্যালারি’তে বিশ্বাস করেন? এক গাল হাসি নিয়ে সৃজিত বলেন, ‘আমি গ্যালারিতে কোনওদিন বিশ্বাস করি না। কিন্তু সৌভাগ্যবশত গ্যালারি আমাকে বিশ্বাস করেছে। আমার ছবিতে কিছু মানুষ ভালোবাসা দেন, কিছু মানুষ দেন না। তাতে আমার কিছু এসে যায় না কারণ আমি যেমন ‘দশম অবতার’ বানিয়েছি, তেমনই তার আগের বছর ‘এক্স= প্রেম’ বানিয়েছি। এর মধ্যে ১ টি ছবি যেমন বছরের অন্যতম হিট আর অন্যটি বছরের অন্যতম ফ্লপ একটি ছবি। কিন্তু দুটোই আমি খুব ভালোবাসা দিয়ে বানিয়েছি।’