টলিপাড়ার অভিনেতা অভিনেত্রীরা বর্তমানে ছকভাঙা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের যেমন নজর করছেন তেমনি সিনেসমালোচকদের কলমেও প্রশংসা পাচ্ছে। কমার্শিয়াল সিনেমার মুখদের ভিন্নস্বাদের সিনেমায় দেখা যাচ্ছে বলা যেতে পারে টলিপাড়ার অভিনেতা অভিনেত্রীরা বেশ ভালো ভাবেই চরিত্র নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করছে। যে তালিকায় এবার রয়েছে কৌশানী মুখোপাধ্যায়। যা ‘বহুরূপীর’ মোশন পোস্টার দেখলেই বোঝা যায়। এর আগে তিনি ‘আবার প্রলয়’ সিরিজের ‘মোহিনী মায়ের’ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন। শুধু এখানেই শেষ নয় মোহিনী মায়ের চরিত্রের জন্য যেরকম বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দরকার ছিল ঠিক তেমনটাই রপ্ত করেছিলেন অভিনেত্রী। তাই এবার নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ‘বহুরূপী’র ক্ষেত্রেও যে তাঁর অন্যথা হবে না, তা ভালোই বোঝা যাচ্ছে।
গত বছরের পুজোয় টলিপাড়ার সুপারহিট পরিচালক জুটি নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘রক্তবীজ’ এক বড়ো চমক দিয়েছিল দর্শকমহলকে। আর এবার চলতি বছরের পুজোতেও ‘বহুরূপী’ কে সঙ্গে নিয়ে বড়সড় চমক দিতে হাজির হতে চলেছেন এই জুটি। সেই সিনেমায় কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের লুক প্রকাশ্যে এনে চমক দিলেন নন্দিতা-শিবপ্রসাদ! কপালে চন্দন। খোপায় সাজানো বনপলাশ। নাকে নোলক। ‘ঝিমলি’র ভূমিকায় পুজোর বক্স অফিস কাঁপাবেন তিনি। প্রথমবার উইন্ডোজ-এর সিনেমায় কৌশানী মুখোপাধ্যায়। রথযাত্রার দিন উইন্ডোজ প্রযোজনা সংস্থা SI সুমন্তর ভূমিকায় আবির চট্টোপাধ্যায়ের লুক প্রকাশ্যে এনেছিল। আর এক সপ্তাহ বাদে এবার কৌশানীকে দেখা গেল ‘ঝিমলি’ লুকে। এই কাহিনী সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরী এবং এতে অভিনয় করছেন স্বয়ং শিবপ্রসাদ নিজেও। এতদিনের শ্যুটিং-এর স্মৃতির পাতা ঘেঁটে তিনি জানিয়েছিলেন, “বহুরূপী। ২০১২ সালের ভাবনা। ১২ বছরের অপেক্ষা। অবশেষে শুটিং শেষ হল। ৩২ দিনের শুটিং, ৭৮ টি লোকেশন, ইউনিট মেম্বারদের অক্লান্ত পরিশ্রম। কখনও ঝড়, কখনও বৃষ্টি, কখনও ৪৫ ডিগ্রি টেম্পারেচার, সব কিছু মাথায় নিয়ে তারা কাজ করেছে। ছিল অ্যাক্সিডেন্ট, তার পর অপেক্ষা, তার পর ফিরে আসা। সব কিছু সম্ভব হয়েছে আপনাদের ভালোবাসায় আর মা অন্নপূর্ণার আশীর্বাদে। দেখা হবে পুজোতে, বড়পর্দায়। চেষ্টা করব আপনাদের মন ভরাতে।”