ঠিক এক বছর পর আবারও ফিরল সেই দুর্ঘটনার স্মৃতি। ২০২৩ সালের ২রা জুন ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার কথা এখনও সকলকে ভিতর থেকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়। আজ অর্থাৎ সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ির কাছে ফাঁসিদেওয়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এখনও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভয়াবহ এই রেল দুর্ঘটনার পর কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস এবং আরজেডির নেতারা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে ট্যুইট করেছেন, ‘গত দশ বছরে রেল দুর্ঘটনার সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।’
এটা মোদি সরকারের উদাসীনতা এবং অব্যবস্থার ফল বলে তিনি মনে করেন। প্রধানমন্ত্রীকে এই ঘটনার দায় নিতেই হবে। রেলমন্ত্রীর এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে আরজেডির নেতৃবৃন্দ। রেলের প্রাথমিক অনুমান, লাল সিগন্যাল দেখতে পাননি মালগাড়ির চালক। সেই কারণেই একই লাইনে এসে যায় সেটি। মালগাড়ির চালকের গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে রেলের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে। একদিকে যখন গত বছর করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা ঘটে তখন লাইনে সুরক্ষা কবচ না থাকা নিয়ে বিতর্ক ওঠে। ইঞ্জিনের সামনে নির্দিষ্ট কোনও দূরত্বে যদি কোনও ট্রেন বা অন্য কিছু থাকে, তবে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই ওই ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ার কথা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে মালগাড়ির ইঞ্জিনে কি সেই ব্যবস্থা ছিল না?