সামনেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন।আর সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। রবিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠকের পরেই জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। আর সেখানে আগামী জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত করা হয় প্রার্থী তালিকা।
এদিন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। যার মধ্যে রয়েছে রাজপুরা, এই কেন্দ্র থেকে লড়বেন রশিদ ভাট, সোপিয়ান বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাভেদ আহমেদ কাদরি, অনন্তনাগ (দক্ষিণ) লড়াই করবেন মহম্মদ রফিশ ওয়ানি এছাড়াও অনন্দনাগ, ডোডা, কিস্তওয়ার সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। কার্যত একদশক পর নির্বাচন হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে। ৯০ টি আসনে ভোট হবে সেখানে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় সেখানে ২৪ টি আসনে ভোট হবে। প্রথম ধাপে মনোনয়নের শেষ তারিখ ২৭ আগস্ট। দ্বিতীয় দফায় ভোট হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। ২৬ টি আসনে ভোট হবে। এরপর আগামী ১লা অক্টোবর নির্বাচন হবে তিতিয় দফায়। ৪০ টি আসনে নির্বাচন হবে। ফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ অক্টোবর।
এবার জম্মু-কাশ্মীরে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। একদিকে বিজেপি সে রাজ্যের ৯০ টি আসনে একা লড়াই করবে। অন্যদিকে কংগ্রেস ন্যাশানাল কনফারেন্সের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই’য়ের ময়দানে নামছে। মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি একা জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনে নামছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রথমবার আম আদমি পার্টিও জম্মু ও কাশ্মীর নির্বাচনে লড়াই করছে। ইতিমধ্যে প্রার্থীও ঘোষণা করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচন হয়। সেই সময় কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ছিল না। সেই নির্বাচনে পিডিপি ২৮টি আসন, ভারতীয় জনতা পার্টি ২৫টি আসন, জম্মু ও কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স ১৫টি আসন এবং কংগ্রেস ১২টি আসনে জয় পায়। পরে পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) ও বিজেপি একসঙ্গে সরকার গঠন করে।