দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বাংলায় উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি। একের পর এক মিছিল হচ্ছে কলকাতা মহানগরে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছে। তথ্য প্রমাণ লোপাট করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করছে এমনি অভিযোগ উঠছে বারে বারে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বিরোধীদের উপর আক্রমণ নেমে আসতে পারে। এমন আশঙ্কাও তৈরি করছেন বিরোধীদের একটা অংশ।
এই আবহতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। শুক্রবার বেশ কিছু সময় ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যপাল বৈঠক হয়েছে। ভিতরে কী আলোচনা হয়েছে। তার কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত রাজ্যপাল দেননি। তবে তাঁর সামান্য বক্তব্যে ইঙ্গিত রয়েছে যথেষ্ট। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। “অন্ধকার সুড়ঙ্গ শেষে আলো থাক।” অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাজ্যপাল বেরিয়ে ই মন্তব্য করেন। আর বেশি কোনও কথা তিনি এগোতে চাননি। সুড়ঙ্গ শেষ আলো থাকা মানে কী বোঝাতে চাইছেন তিনি? তাহলে কি বাংলায় অন্ধকারময় পরিস্থিতি চলছে, আগামী দিনে আলো ফুটে উঠবে পশ্চিমবঙ্গে? এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারা দুজনে রাজ্যপালের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে তাঁদের বক্তব্য রাখেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য রেখেছেন, সেই বিষয়েও রাজ্যপালকে অবগত করেন। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপি নেতারা উদ্বিগ্ন। রাজ্যপাল হিসেবে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান সিভি আনন্দ বোস। তিনি এবার সংবিধান রক্ষার দায়িত্ব নিক। এই আবেদন করেছেন রাজ্য বিজেপির দুই নেতা। এরপর তড়িঘড়ি রাজ্যপাল দিল্লির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কি তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন? সেই প্রশ্ন তৎক্ষণাৎ উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার বিকেলেই দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। শুক্রবার তিনি অমিত শাহের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করলেন।