গত ৯ অগস্ট আরজি করের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক কর্মরত মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহ। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় এক জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। ধৃতকে শুক্রবার আরজি করের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হয়। এক সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ‘অভয়া’-কে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় তাঁর সহকর্মীরাও জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ বাবা-মায়ের। তাঁরা হাসপাতালের বেশ কয়েক জন চিকিৎসক এবং ইন্টার্নের নামও সিবিআইকে জানিয়েছেন। সিবিআইয়ের এক কর্তা ওই সংবাদ সংস্থাকে এই খবর জানিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরজি করে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, এক জন মাত্র তাঁদের কন্যার ধর্ষণ এবং খুনের সঙ্গে জড়িত বলে তাঁরা মনে করেন না। বরং এই ঘটনার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছেন বলেই তাঁদের অনুমান। গোটা ঘটনায় হাত থাকতে পারে হাসপাতালেরই চিকিৎসক এবং পড়ুয়াদের। মৃত চিকিৎসকের সঙ্গে কাজ করতেন, এমন কয়েক জনের নাম সিবিআইকে জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের সন্দেহ করার কারণও জানিয়েছেন। সিবিআই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা যাঁদের নাম বলেছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া, কলকাতা পুলিশের কয়েক জন আধিকারিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, যাঁরা প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিলেন। পুলিশ কোন সূত্রে কী কী তথ্য জোগাড় করেছিলেন, তা জানতে চাইবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্তত ৩০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
মৃত চিকিৎসকের সহকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘রাত ২টোর পর মেয়েটি ঘুমোতে গিয়েছিল। তার আগে পর্যন্ত সে সহকর্মীদের সঙ্গেই ছিল। পরের দিন সকাল ৯টায় দেহ উদ্ধার হয়। এতটা সময় তাঁর খোঁজ কেউ নিলেন না কেন?’’