তাপমাত্রা কিন্তু ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। এই সময় শরীর অনেকেরই খারাপ হচ্ছে। ঘরের বাইরে বেরোনো যেন দায় হয়ে পড়ছে সকলের। এই সময়ে যদি আপনি কম পরিমাণে জল খান তাহলে কিন্তু শরীর অসুস্থ হয়ে যাবে। তা থেকে আপনার ডায়রিয়া হতে পারে, বমি হতে পারে। গ্রীষ্মকালে আপনার শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে হবে। তবেই কিন্তু আপনি সুস্থ থাকবেন। ভেতর থেকে শরীর ঠান্ডা রাখতে আপনি কিন্তু এই খাবারগুলি রোজ খেতেই পারেন।
পুদিনা
পুদিনা পাতার নাম সকলেই শুনেছেন। তাই যদি রায়তাতে পুদিনা পাতা দিয়ে খাওয়া যায় তবে তা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। সেই সঙ্গে শরবত করেও খাওয়া যেতে পারে। চাটনিতে পুদিনা পাতা দিয়ে খাওয়া যায়। পুদিনা পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টিইনফ্লেমেটরি থাকে। যা খেলে শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকবে। তাছাড়া যদি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে হয় তাহলেও কিন্তু এটি খাওয়া দরকার। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।
ধনেপাতা
ধনেপাতা আমরা যেকোনও রান্নাতেই ব্যবহার করে থাকি। এটি কিন্তু যে শুধু খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় তা নয়। ধনেপাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ২০১৫ সালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, যেহেতু ধনেপাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ধনেপাতা হল অ্যান্টিক্যানসার। এটি খেলে ক্যানসার রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। তাই এটি খেলে শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকবে। ধনেপাতার চাটনি, স্যালাডে ধনেপাতা দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকার, তা আমরা সকলেই জানি। শুধু যে সর্দি- কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়া হয় তা কিন্তু নয়। তুলসীপাতায় আন্টি সেপটিক আন্টি এজিং এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকে। যা আমাদের শরীরে ওষুধের মতন কাজ করে। তাই আপনি শরীর ঠান্ডা রাখতে খেতে পারেন তুলসী পাতা।
হিবিস্কাস
হিবিস্কাস খেলে শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকে। তাই আপনি হিবিস্কাস চা করে নিত্যদিন খেতে পারেন। এটি আপনার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করবে। এটি খেলে আপনার শরীরে জলের ঘাটতি মিটবে। সেই সঙ্গে শরীর কখনোই ডিহাইড্রেট হবে না।
মৌরি
মৌরি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। মৌরি খুব শীতল। এটি খেলে আপনার হজমের সমস্যাও কমবে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। মৌরি খেলে আপনার পেটে ফোলা কমবে। বদহজম হবে না। আবার উজ্জ্বল হবে ত্বকও। সেই সঙ্গে পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে মৌরি।