সল্টলেক স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্নায় বসে আছে জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার বেলা ১২ টায় সল্টলেকের ধর্নাস্থলে হঠাৎ পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথা শেষে জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানালেন, “আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তবে আমাদের যে ৫ দফা দাবি রয়েছে। তা না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আমরা আলোচনা করতে রাজি আছি। আমরা অতি দ্রুততার সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি রয়েছি। তবে আমরা দাবির সঙ্গে সমঝোতা করব না, এক্ষুনি আলোচনায় বসতে চাই। কাজে ফিরতে চাই। উনি চাইলে আগেই বলতে পারতেন কিন্তু ৩৫ দিন সময় লাগালেন। প্রথম মেইলে মুখ্যমন্ত্রীর আসার কথা ছিল না। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী এসেছে আমরা ওয়েলকাম জানালাম। আলোচনায় বসব।”
এদিন ধর্নারত জুনিয়র চিকিৎসকেদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এত বৃষ্টি হচ্ছে আপনাদের প্রচুর কষ্ট হচ্ছে, আর কষ্ট করবেন না। আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের ডিম্যান্ড রাখব। আমিও তিলত্তমার দোষীদের শাস্তি চাই। তিলত্তমার বিচার চাই। কাজে ফিরতে চাইলে ফিরুন। আপনারা কাজে যোগদান করুন। আপনাদের প্রতি কোনও অবিচার করব না। হাসপাতালের সমস্ত ইনফ্রাস্ট্রাকচার ঠিক করব। অনেক রোগী মারা যাচ্ছে, আপনারা কাজে ফিরুন। রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। সব নতুন করে তৈরি হবে। আমার সঙ্গে দোষীদের কোনও সম্পর্ক নেই। আমি তাদের চিনি না।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি চেষ্টা করব যাতে দোষীরা তিন মাসের মধ্যে শাস্তি পায়। আপনারা আমার ভাইবোন। আমি কোনও অ্যাকশন নেব না। আমি ইউপি সরকার নই। আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন। আমি চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও স্টেপ নেব না। আপনাদের আমার প্রয়োজন। আমাকে যদি বিশ্বাস করেন তখন মনে রাখবেন আমি আসতে আসতে করে সাধ্যমতো চেষ্টা করব। আমার কাছে দুর্নীতির একটাও টেন্ডার কেস আসেনি। আপনাদের যা যা কমপ্লেইন রয়েছে আমি অবশ্যই তদন্ত করে সাজা দেব। ১৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্টে ডেট রয়েছে। আমি চাই না আপনাদের কোনও ক্ষতি হোক। আমি মুখ্যমন্ত্রী নই আমি দিদি হিসাবে বলতে এসেছি।”
