প্যারিস অলিম্পিকে ওজন সামান্য বেশি হওয়ায় ছিটকে গিয়েছেন তিনি। ফলে মাঠে মারা গিয়েছে সোনা জয়ের স্বপ্ন। এবারের অলিম্পকে অধরা রয়ে গিয়েছে সোনার পদক পাওয়ার। যদিও তাঁকে নিয়ে প্রত্যাশার পারদ চড়েছিল প্রায় আকাশচুম্বী। সবাই আশা করেছিলেন এবার ঠিক সোনা পাবেন ভিনেশ ফোগট। কিন্তু হতাশ হতে হয়েছে তাঁকে। এবারের অলিম্পিকে ফাইনালে ওঠার আগে গতবারের সোনাজয়ী ইউ সুসাকিকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরের ম্যাচ ছিল ইউক্রেনের ওকসানা লিভাজকে। তাঁকে ৭-৫ পয়েন্টে হারিয়ে পাকা করে নিয়েছিলেন সেমিফাইনালে ওঠার রাস্তা। সেমিফাইনালে হারিয়েছিলেন কিউবার গুজম্যান লোগেশকে। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচের আগেই হয় স্বপ্নভঙ্গ। ফাইনালের দিন তাঁর ওজন নিতে গিয়ে দেখা যায় তাঁর ওজন বেশি। ফলে ছিটকে যান ভিনেশ। এরপরই অবসর ঘোষণা করেন ভিনেশ। তাঁর জীবনের এমন চরম দুঃসময়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে পরিবার। তাঁর পাশে দাঁড়ান স্বামী সুরবীর রাঠোর। তিনিও সোনাজয়ী কুস্তিগির। দুজনের বিয়েও হয় রীতিমতো রুদ্ধশ্বাস সিনেমার মতো। শুরুটা হয়েছিলে দুজনে একসঙ্গে চাকরি করতে রেলে। সেখানে দুজন দুজনের প্রেমে পড়েছিলেন। ২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে নিজেদের সম্পর্কের কথা সামনে আনেন কুস্তিগির দম্পতি। নয়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে রীতিমতো রোমান্টিকভাবে ভিনেশকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সুরবীর। তাতে সায় দেন ভিনেশও। ওই বছরের আগস্ট মাসেই বাগদান সেরে নেয়ে তাঁরা। ডিসেম্বরে মালাবদল করেন দুজনে। বিয়ে হয় হরিয়ানায়। ঘটনা হল বিয়েতে আচার-অনুষ্ঠানের জন্য অনাবশ্যক খরচ করতে চাননি। কারণ বিয়েতে অপ্রয়োজনীয় টাকা খরচে তাঁদের ছিল ঘোর আপত্তি। নিজেদের পরিবারকে মাত্র এক টাকা খরচ করতে বলেছিলেন বিনেশ ও সুরবীর। সেই এক টাকাতেই বিয়ে হয় ভারতের দুই নামী কুস্তিগিরের।