মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরে হল প্রথম দফার ভোট। রাজ্যের ২৪টি আসনে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রায় ১০ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন। ২০২৪ সালে শেষ নির্বাচন হয় জম্মু-কাশ্মীরে। বিলুপ্ত হয়েছে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ। চলে গিয়েছে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা। দীর্ঘ ১০ বছর পর ফের বুথমুখী কাশ্মীরিরা। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টা পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ১১.১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। বহু বুথে লম্বা লাইন চোখে পড়েছে সকাল থেকেই। প্রথম দফায় ২১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোট দেবেন ২৩ লক্ষ ভোটার। ভোটার তালিকায় রয়েছেন ৩৫ হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিতও। মোট ৩ হাজার ২৭৬টি বুথে ১৪ হাজার ভোটকর্মী রয়েছেন। ভোটগ্রহণ চলছে কাশ্মীরের অনন্তনাগ, পুলওয়ামা, শোপিয়ান, কুলগাম এবং জম্মুর দোদা, রামবান এবং কিস্তওয়ারে।
প্রথম দফা নির্বাচনের শুরুতেই কাশ্মীরিদের ভোটদানে উৎসাহ জুগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। দু’জনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘গণতন্ত্রের উৎসবে যোগদান করুন। তরুণ এবং প্রথমবারের ভোটদাতাদের বিশেষভাবে আর্জি জানাব, নিজের মতামত প্রকাশ করতে।’ অন্যদিকে, রাহুল গান্ধী বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও পূর্ণ রাজ্যের থেকে মর্যাদা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটা আপনাদের সকলের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন। জম্মু-কাশ্মীরের অপমান। ইন্ডিয়া-কে দেওয়া আপনাদের এক একটি ভোট আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে আনবে। রোজগার বৃদ্ধি হবে। মহিলাদের আত্মনির্ভর করবে। অন্যায়ের এই যুগ থেকে বের করে আনবে আপনাদের। জম্মু-কাশ্মীর আবার সমৃদ্ধ হবে। ঘর থেকে বেরোন। নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন। ইন্ডিয়া-কে ভোট দিন।’