গানই তাঁর বেঁচে থাকার অবলম্বন। গান শিখিয়ে রোজগারও করেন। আর গান গেয়ে চাঙ্গা করে তুলেছেন ক্যানসার রোগী থেকে জেলবন্দি, শেলটার হোমে থাকা মানুষজনকে। মানুষটির নাম উমেশ বিপিন। বয়েস বাষট্টি। ভোপাল থেকে মিউজিকে কেরিয়ার গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন তিনি। চার দশক পর সেই স্বপ্ন পূরণ তো হয়েছেই। পেশাদার শিল্পীও হতে পেরেছেন। তাঁর গানকে কাজে লাগিয়ে ক্যানসার রোগী, জেলে বন্দি জীবন সম্পর্কে হতাশ হওয়া মানুষদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন তাঁদের। চেম্বুরের বাসিন্দা উমেশ তাঁর মিউজিক কেরিয়ারের পাশাপাশি তাঁর আস অ্যাকাডেমিতে গান শেখানোও শুরু করেন। সেখানে ঘটনা চক্রে বেশ কিছু বয়স্ক মানুষও তাঁর স্কুলে নাম লিখিয়েছিলেন। গান শেখাতে শেখানে উমেশ লক্ষ্য করেন সেই বয়েসের ভারে ন্যুব্জ হয়ে মানুষগুলো আর আগের মতো নেই। তাঁরা কীরকম হাসিখুশি হয়ে উঠেছেন। গান শেখার আগে তাঁদের মধ্যে যে হতাশা ছিল,তা পুরোপুরি উধাও। ব্যাপারটা লক্ষ করে তিনি এই গানের মাধ্যমে রোগ সারানো নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করতে শুরু করেন। গবেষণা করতে করতেই জানতে পারে গানের রোগ সারানোর ক্ষমতা রয়েছে। গান মেজাজ ভালো করে দেয়। মনের দুঃশ্চিন্তা দূর করে দেয়। যাঁরা ঘুম না হওয়ার জন্য সারাদিন মুখ গোমড়া করে থাকেন,তাঁদের মনে আনন্দ এনে দেয়। মনের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। উমেশ জানান যদি গান কারো জীবনে খুশির সঞ্চার করে,তাহলে কল্পনা করা যেতে পারে কতটা শান্তি অন্যদের এনে দিতে পারে। সঙ্গীতের এমন সম্ভাবনা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে স্ত্রী সঙ্গীতা ও মেয়েকে নিয়ে শ্রুতি সন্ধান ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২৩ সালে এটি নথিভুক্ত হলেও কাজ শুরু করে ২০০৭ সালে।