আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সমাজের প্রায় সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভের আবহাওয়া। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি প্রায় ২১ দিন পেরিয়ে গিয়েছে আরজি কর ঘটনার। কলকাতা পুলিশ ঘটনাস্থলের থেকে তথ্য, সূত্র লোপাট করেছে। এমন অভিযোগও উঠে আসছে। এদিকে সামনেই দুর্গাপুজো। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবে অনেকটাই প্রভাব ফেলেছে আরজি কর কাণ্ড। করোনা কাল থেকে রাজ্য সরকার দুর্গোৎসবের জন্য ক্লাবগুলিকে আর্থিক সহায়তা করে। এই বছর ৮৫ হাজার টাকা করে ক্লাব পিছু দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এই ঘোষণা করেছেন। আরজি কর কাণ্ডের পরে সেই অনুদান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই একাধিক ক্লাব সেই আর্থিক অনুদান নেবে না বলে জানিয়েছে।
এবার আর্থিক অনুদান নেওয়া হবে না, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল মুদয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব। ক্লাবের প্যাডে এই বিষয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে নির্যাতিতা তরুণীর বিচার চাওয়া হচ্ছে। সে কারণেই রাজ্য সরকারের দেওয়া ৮৫ হাজার টাকার অনুদান এবার তারা গ্রহণ করছেন না। পরিষ্কার এই বার্তা লেখা রয়েছে। কলকাতার নামিদামী পুজোগুলির মধ্যে মুদিয়ালির পুজো পরে। দক্ষিণ কলকাতার পরিচিত পুজোগুলির মধ্যে পড়ে এটি। মন্ডপ ও প্রতিমার রূপ বরাবর নজর কাড়ে। সেই মুদিয়ালির পুজো এবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ক্লাবের তরফ থেকে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাও উল্লেখযোগ্য।
প্যাডের বক্তব্যে লেখা হয়েছে, “কিন্তু আমরা দেখলাম যে বর্তমান রাজ্য সরকার ‘মা’কে নিয়ে আসার জন্য ৮৫ হাজার টাকা। কিন্তু বিসর্জনের জন্য ১০ লক্ষ টাকা। তাই আমরা সবাই মিলে বলি, তিলোত্তমার বিচার চাই, অপরাধীদের ফাঁসি চাই। জাস্টিস ফর আরজি কর। জাস্টিস ফর অভয়া।” স্বাধীনতা দিবসের আগের সন্ধ্যায় বেহালায় বক্তব্য রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় মৃতা তরুণীর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে চাওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। সেই ভিডিওর অংশ সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা হয়। ধর্ষণ খুনের ঘটনার মৃতার দাম ১০ লক্ষ টাকা! সেই কথাও উঠছে শুরু করে। মৃতার বাবা – মা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তারা টাকা চান না। মেয়ের খুনে দোষীদের শাস্তি চান।