আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে আছে সারা দেশ। রাস্তায় নেমেছে বহু মানুষ। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব পর্যন্ত সবাই সঠিক বিচারের জন্য পথে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার অর্থাৎ ২৮ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভার বৈঠক সাধারণত ১৩-১৫ দিনের মধ্যে হয়। এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছিল গত ৫ অগস্ট। সেইমতো ২০ অগস্টের আশপাশে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। মন্ত্রিসভার বৈঠক পিছনোর কারণ নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।
গত ৫ অগস্ট বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর আর মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়নি। এর মাঝে গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে এক জুনিয়র মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ‘তিলোত্তমা’-র নৃশংস পরিণতি নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। আবার আরজি কর কাণ্ড নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা।
সাধারণত দিন পনেরোর মধ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠক হলেও গত ৫ অগস্টের পর আর কোনও বৈঠক হয়নি। আরজি কর কাণ্ডের জেরেই এই পদক্ষেপ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অবশেষে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। জানিয়েছেন, ২৮ অগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টেয় নবান্নে হবে মন্ত্রিসভার বৈঠক।