বয়স বাড়লেই শুরু হয়ে যায় পাকাচুল আর ত্বকের সমস্যা। ত্রিশ পেরোনোর পর থেকেই শুরু করতে হয় ত্বকের পরিচর্যা। ত্বকের যত্ন না নিলে হারিয়ে যায় ত্বকের জেল্লা, কুঁচকে যায় চামড়া, নজরে পরে মুখের বলিরেখা। মেচেতার দাগ পড়ার মতো নানাবিধ সমস্যা দেখতে পাওয়া যায়। অনেকেই অবশ্য এর জন্য স্কিন ট্রিটমেন্ট বা বাজার চলতি প্রসাধনী দ্রব্য বেছে নেন। তবে শুধু ক্রিম মাখলেই হবে না! বরং ভিতর থেকে ত্বকের পুষ্টি জোগানো দরকার। চল্লিশ পেরলেও যাতে না চালশে পড়ে! তার জন্য রইল ‘ম্যাজিক টনিকে’র হদিশ।
খাদ্য তালিকায় প্রথমেই যে দ্রব্যটি অত্যন্ত উপকারী তা হল দুধ। দুধে প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম থাকায় ত্বক ভাল থাকে। তবে ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে না খাওয়াই ভালো। সে ক্ষেত্রে নিয়ম করে সয়া মিল্ক খাওয়া যেতে পারে। এই সোয়া মিল্ক খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়বে না। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতাও বজায় থাকবে। এর পরেই যে খাদ্যটি ত্বকে ভাল মতো কাজ করে তা হল গ্রিন টি। পুষ্টিবিদদের মতে, দুধ-চা বা দুধ-কফি না খেয়ে দিনে অন্তত একবার বা দুবার গ্রিন টি পান করা উচিত। এর মধ্যে আছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট যা শরীরকে ভিতর থেকে সতেজ রাখে ও বলিরেখা পড়তে দেয় না ত্বকে।
তালিকায় তৃতীয় খাদ্যটি হল গাজর। গাজর চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে। গাজরের রস নিয়মিত খেলে ত্বক ভালো থাকে। এছাড়া বেদানা, তরমুজের জুসও খুব ভালো। তার পরেই আসে টম্যাটোর রস বা টম্যাটোর স্যুপ। টম্যাটোতে আছে লাইকোপিন নামে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন এ, কে ও সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।
অন্যদিকে আঙুরের রসও শরীরের জন্য বিশেষ উপযোগী। আঙুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও পটাশিয়াম আছে, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ত্বকে দাগছোপ, বলিরেখা পড়তে দেয় না। পাশাপাশি সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকেও ত্বকে বাঁচায়। এছাড়া রোজ সকালে যদি উষ্ণ গরম জলে মধু ও লেবু মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে ত্বকের জন্য বিশেষ উপযোগী।