আরজি কর হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় চিকিৎসকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ১৪ আগস্ট আরজি কর কলেজ ও হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় মমতা সরকারকে প্রশ্ন করল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট মমতা সরকারকে বলেছে হাসপাতাল বন্ধ করতে, অন্তত সব রোগী নিরাপদ থাকবে। আদালত সরকারের কাছে জানতে চায়, ‘যখন জনতা হাসপাতালে পৌঁছেছিল তখন আপনি কী করছেন?’ এই বিষয়ে সরকার বলেছে, ‘পুলিশের কাছে ভিড়ের কোনও তথ্য নেই।’
কেন ১৪ আগস্ট সাত হাজার লোকের ভিড় হাসপাতালে আন্দোলন করেছিল সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। এ ছাড়া নির্যাতিতা ধর্ষণের সঙ্গে কতজন জড়িত তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কারণ পুলিশ, সরকার, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তিনটি ভিন্ন গল্প বলছে। এদিকে, শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সঙ্গে এই ঘটনার পরও কেন ওই হাসপাতালের সেমিনার হলটি এখন পর্যন্ত সিল করা হয়নি সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে? এই ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। সহকর্মীরাও জড়িত থাকতে পারে বলে পরিবার জানিয়েছে। সন্দেহের দৃষ্টি রয়েছে সেই ফুড ডেলিভারি বয়ের ওপরেও, যে শেষবার ভিকটিম ও তার বন্ধুদের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছিল।
ভিকটিমের পেলভিক গার্ডল ভেঙে গিয়েছে, চিকিৎসকদের মতে, একজন ধর্ষণের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। পেলভিক গার্ডল ভেঙে যাওয়াওই সাক্ষ্য দেয় যে একাধিক ব্যক্তি অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর সময় ছিল ভোর ৩টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে। ভিকটিমের নিচের ও উপরের ঠোঁট, নাক, গাল এবং নিচের চোয়াল-সহ তার শরীরে বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার মাথার খুলির টেম্পোরাল হাড়ে আঘাত এবং তার মাথার খুলির সামনের অংশে রক্ত জমে থাকার তথ্যও দেওয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে ভিকটিমের মুখ চেপে রাখা হয়েছিল এবং তার মাথা দেয়ালে চাপা ছিল, যাতে সে সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে না পারে। তার মুখের চশমা ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে, যা প্রমাণ করে তার মুখে বারবার আঘাত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তিনি বলেছেন যে নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ১৫০ গ্রাম তরল বেরিয়েছে, যা একাধিক ব্যক্তির ধর্ষণের প্রমাণ দেয়।