মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৭ আগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘ছাত্র সমাজ’। ‘নবান্ন চলো’ কর্মসূচি নিয়ে উত্তাল হয়ে আছে রাজ্য রাজনীতি। নবান্ন অভিযান নিয়ে আশঙ্কার মধ্যে আছে রাজ্যের পুলিশ। এই নবান্ন অভিযান বেআইনি বলে জানিয়ে দিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজকুমার ভার্মা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন মনোজকুমার ভার্মা, এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, “নবান্ন সংরক্ষিত এলাকা। এখানে সাধারণত কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যায় না। ফলে আমরা মনে করি আইনগতভাবে এই কর্মসূচি বেআইনি। যারা এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, তারা যদি অন্য কোথাও করত তাহলে আমাদের আপত্তি নেই।”
সাধারণ মানুষ ও মহিলাদের সামনে রেখে হামলার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্তারা। এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে একাধিক আশঙ্কার কথা শোনান পুলিশ কর্তারা। এডিজি আইনশৃঙ্খলার বক্তব্য, তাঁদের কাছে খবর আছে, একটা বড় সংখ্যক চাইছে এখানে গন্ডগোল হোক। এমন উস্কানি তৈরি করা হবে যাতে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করে। যেটার ফায়দা তুলবে মিছিলের আহ্বায়করা। মনোজ ভার্মা বলেন, পুলিশের কাছে যা খবর, সেইমতো কাজও করছে। তবে বিস্তারিত এখন জানানো হবে না।
সোমবার সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বস্ত সূত্রে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। সেই তথ্যের অন্যতম একটি হল এই যে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফে একজন গতকাল শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন। সে ব্যাপারে আমরা তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছি। সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে আগামিকাল কিছু দুষ্কৃতী ব্যাপক গন্ডগোল, অশান্তি, হিংসা এবং বিশৃঙ্খলা ছড়াতে পারে বলেও খবর পেয়েছি। আমরা এটাও জেনেছি ভিড়ের সামনে মূলত মহিলা ও ছাত্রছাত্রীদের রাখা হবে। পিছন থেকে গোলমাল পাকানো হবে। এমন পরিস্থিতি করবে যাতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয়।’
অন্যদিকে, জয়প্রকাশ বলেন, “পুলিশের ছদ্মবেশে গুলি চালাতে পারে। নিজেদের লোককে মারতে পারে।” ওদিকে আবার শুভেন্দু অধিকারী শুনিয়ে রেখেছেন, “ছাত্রসমাজ অভিযান ডেকেছে। আমি বলেছি, যদি হয়, নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম পাই, নাগরিক হিসাবে…ওরা তো প্রত্যেক বাড়ি থেকে একজনকে চেয়েছে। আমারও অধিকার আছে আমার বাড়ি থেকে যাওয়ার।”