আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় দত্ত সত্যি না মিথ্যে বলছে, তা জানার জন্য পলিগ্রাফ টেস্ট করার জন্য সিবিআইকে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই টেস্টের মাধ্যমে কেউ সঠিক কথা বলছে কিনা বা মিথ্যে কথা বলছে কিনা, তা জানা যাবে। টেস্টের মধ্য দিয়ে ঘটনার রাতে ঠিক সে কী কী কাণ্ড ঘটিয়েছিল, সে একাই ছিল বা তার সঙ্গে আর কেউ ছিল কিনা তা জানা যাবে। এই পলিগ্রাফ টেস্টের মাধ্যমে তার শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি,নাড়ির স্পন্দন, সেইসঙ্গে গতি, রক্তচাপ থেকে শরীর থেকে কতটা ঘাম বের হচ্ছে, তা জানা যাবে।
কেউ মিথ্যে কথা বললে তার হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপের পরিবর্তন ঘটে যায়। এসবের মাধ্যমে এর একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে সবসময় একশো শতাংশ ঠিকঠাক ফল মেলে তা নয়। যদিও এনিয়ে একটা ধারণা পেতে পারেন তদন্তকারীরা। সোমবারই ধর্ষিতা-মৃতার ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তরুণী মহিলা চিকিৎসককে। ধর্ষণের প্রমাণও মিলেছে। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে মৃতার যৌনাঙ্গে কিছু জিনিস ঢোকানো হয়েছিল। তা থেকে স্পষ্ট তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল। এন্ডো সার্ভাইকাল ক্যানেলে গাঢ় তরল পদার্থের হদিশ মিলেছে। শরীরে মোট ১৬টি ছোট বড় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে।