ফুচকা কেন তাঁকে না দিয়ে মাকে দিয়েছে স্বামী। আর তার জেরে রীতিমতো ধুন্ধুমার ঘটল বিহারের বাঙ্কায়। আর সেই সামান্য ফুচকা-কাণ্ডে গোলমাল সামাল দিতে ছুটে এল পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? জানা গিয়েছে মা ও স্ত্রীকে নিয়ে বৈকালিক ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন সেখানকার বাসিন্দা সুধাংশু রাই। বিকেলে বেরিয়ে রাস্তার ধারে ফুচকার দোকানে তিন প্লেট ফুচকা দিতে বলেছিলেন ফুচকাওয়ালাকে। সেইমতো প্রথম প্লেটটি ফুচকাওয়ালা এগিয়ে দিলে সেটি সুধাংশু এগিয়ে দেন মায়ের দিকে। এতে রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন তাঁর স্ত্রী স্বপ্না কুমারী। স্বামীকে যাচ্ছেতাইভাবে কথা শোনাতে থাকেন। তাঁর একটাই কথা, কেন প্রথম প্লেটটি তাঁকে না দিয়ে মাকে তিনি দিয়েছেন। তারপর ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়া থেকে হাতাহাতি। হাতাহাতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে অপ্রস্তুত ফুচকাওয়ালা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ আসার আগেই দুপক্ষের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে।
স্ত্রী স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অত্যাচার নিয়ে অভিযোগ করতে শুরু করেন। স্বামীর পাল্টা অভিযোগ স্ত্রী মায়ের মোটেই যত্ন নেন না। এমনকী দুপক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে লাঠি দিয়ে মারার অভিযোগ করে। পুলিশ তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বোঝালেও অশান্তি চলতে থাকে। শেষপর্যন্ত অবশ্য শান্ত হন দুজন। দুপক্ষের মধ্যে অশান্তি মিটিয়ে সেখান থেকে চলে যায় পুলিশ।