বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ঘিরে উত্তাল বিধাননগর! আটক করা হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক বিজেপি নেতা। কিন্তু সেই ভ্যানের সামনেই অবস্থানে বসে গিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করে কখনই নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অন্যদিকে একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বিজেপির অন্য একটি দল। যা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিজেপি নেতা-কর্মীদের একটাই দাবি, আরজি কর কাণ্ডে অবিলম্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগ করতে হবে। একই সঙ্গে আরজি কর কাণ্ডে জাস্টিসও দাবিও তোলা হচ্ছে।
আরজি কর কাণ্ডে একেবারে লাগাতার পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বুধবার থেকে শ্যামবাজারে লাগাতার ধর্না চালাচ্ছেন। আর সেই মঞ্চ থেকেই আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। হাডকো মোড় থেকে এই মিছিল শুরু হয়। বিজেপির এই মিছিলকে আটকাতে পাল্টা পুলিশের তরফে প্রস্তুতি নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ভবনের অন্তত চার কিমি আগে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় গোটা এলাকা। করুণাময়ী সহ একের পর এক বড় রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু মিছিল ব্যারিকেডের সামনে পৌঁছতেই উত্তেজনা তৈরি হয়। সেই ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে শুরু করে দেন বিজেপি নেতাকর্মীরা।
যা নিয়ে একেবারে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি তৈরি হয়। মিছিল একেবারে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে এগোতে শুরু করে। আর তাতে পুলিশমহলে একেবারে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক শীর্ষ নেতাকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যাচ্ছে। এই অবস্থায় পাল্টা পুলিশের তরফেও মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়। কিন্তু সমস্ত কিছু উপেক্ষা করেই স্বাস্থ্য ভবনের দিকে এগিয়ে যান কর্মীরা। অর্জুন সিং’য়ের নেতৃত্বে একটি মিছিল এগিয়ে যায়। বারবার পুলিশ তাঁকে আটক করার চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হন। এমনকি দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বেও অন্য পথে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে এগিয়ে যায় মিছিল।