বিরিয়ানি, ভারতীয় উপমহাদেশের এক অমর খাবার, যার সুগন্ধি ও স্বাদকল্পনা আজও মুগ্ধ করে তোলে। কিন্তু এই জনপ্রিয় খাবারটির আবির্ভাব কীভাবে ঘটেছিল, তা নিয়ে রহস্য আজও ইতিহাসের এক জটিল মিশেল।
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রভাব: অনেকে বিশ্বাস করেন, মুঘল সেনাবাহিনীর হাত ধরেই ভারতে বিরিয়ানির আগমন ঘটেছিল। মধ্যপ্রাচ্যের ‘পোলাও’ থেকে অনুপ্রাণিত ‘বিরিয়াঞ্জ’ নামক খাবার মুঘলদের মাধ্যমে ভারতে এসে ‘বিরিয়ানি’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
দক্ষিণ ভারতের দাবী: অন্যদিকে, দক্ষিণ ভারতের কিছু অঞ্চল দাবি করে যে, তাদের খাবারই বিরিয়ানির মূল উৎস। ‘পোলাও’ ও ‘মাংস’ রান্নার স্থানীয় রীতির সাথে মুঘলদের রন্ধনপ্রণালী মিশে তৈরি হয়েছিল ‘বিরিয়ানি’।
অন্যান্য সম্ভাবনা: আরও কেউ কেউ মনে করেন, পারস্য বা মধ্য এশিয়ার ‘পোলাও’ থেকেই বিরিয়ানির উৎপত্তি।
বিভিন্নতায় সমৃদ্ধ:
আজ ভারতে বিরিয়ানির অজস্র রূপ দেখা যায়।
মুঘলই বিরিয়ানি: দীর্ঘশস্য চাল, মাংস, টাটকা মশলা, এলাচ, জাফরানের ব্যবহার এই বিরিয়ানির বৈশিষ্ট্য।
হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি: ‘পাকি’ রান্না পদ্ধতি, টাটকা মশলা, ‘বাসমতী’ চালের ব্যবহার এটিকে অনন্য করে তোলে।
কাচ্চি বিরিয়ানি: ‘কাঁচা’ মাংস ও মশলা দিয়ে রান্না করা হয় এই বিরিয়ানি।
মালব বিরিয়ানি: নারকেল, ‘বাসমতী’ চাল ও মাংসের ব্যবহার এটিকে আলাদা করে।
আজ বিরিয়ানি শুধু খাবার নয়, ভারতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর স্বাদ, সুগন্ধি ও ঐতিহাসিক রহস্য ভারতের বৈচিত্র্যময় খাদ্য সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে।