বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৫ জুলাই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। কিন্তু তা স্থগিত করে শুক্রবার অর্থাৎ ২৬ জুলাই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন মমতা। শনিবার অর্থাৎ ২৭ জুলাই নীতি আয়োগের বৈঠক, সেই বৈঠকে যোগ দেবেন বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণ এবং বাজেটে বাংলাকে আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন তিনি। এ দিন কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘এদের যা আচরণ, বাংলাকে ভাগ করার যে চক্রান্ত, তা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যেহেতু আগে থেকে বলে দেওয়া ছিল তাই নীতি আয়োগের বৈঠকে নিয়মরক্ষা করতে যাব।’
মমতা বন্দোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘আমায় ভাষণ পাঠাতে বলা হয়েছিল সাতদিন আগে। নীতি আয়োগের বৈঠকে কাল যাচ্ছি। যদি ভয়েস রেকর্ড করতে দেওয়া হয় করব। আমার রাজ্যের কথা বলতে দেওয়া হলে বলব।’ এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘বাজেটে যেভাবে বাংলা সহ বিরোধী রাজ্যগুলির সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়েছে, আর্থিক বঞ্চনা করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব মেনে নিতে পারছি না। মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপি নেতাদের যা মন্তব্য, বাংলা তথা দেশকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার চক্রান্ত, তা মেনে নেওয়া যায় না। অসম, ঝাড়খণ্ড, বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
দিল্লিতে পৌঁছেই মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রথমেই চলে যাবেন, বঙ্গভবনে, তারপর তৃণমূলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সংসদে সুর চড়িয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এই নিয়ে আগামীদিনেও যে তৃণমূল অল আউট আক্রমণে যাবে, তা স্পষ্ট হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের ভাষণেই। এবার মমতা বন্দোপাধ্যায় সাংসদদের ভূমিকা নিয়ে বিশেষ দিশা দেখা পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।