আন্দোলনরত চিকিৎসকদের উপর হামলার চক্রান্তের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে দুজন। তাদের মধ্যে একজন বাম যুব নেতা কলতান দাশগুপ্ত এবং অন্যজন হলেন সঞ্জীব দাস, ওরফে বুবলাই। এবার আবহে ভাইরাল অডিয়োর সত্যতা নিয়ে যে কোনও সংশয় নেই বলে জানিয়ে দিল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘যে অডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল, তার সত্যতা নিয়ে সংশয় নেই।’
পাশাপাশি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানান হয়েছে, ‘এই ভাইরাল অডিওতে যে দুজনের কণ্ঠ শোনা গিয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার হয়েছে। একজন সঞ্জীব দাস, হালতুর বাসিন্দা। অন্যজন কলতান দাশগুপ্ত, সিপিএমের যুব সংগঠনের নেতা। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় অডিয়োতে তাঁর গলা শোনা গিয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছেন সঞ্জীব। আর কলতানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।’ এছাড়াও পুলিশ জানিয়েছেন, অডিয়োতে আরও তিন জনের নাম পাওয়া গিয়েছে । তাঁরা হলেন সাহেব, দাদু এবং বাপ্পা। তবে এখন তাদের পরিচয় জানা যায়নি । তদন্তের সময় এঁদের স্বরের নমুনা মিলিয়ে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয় সঞ্জীব এবং কলতান এই দু’জনকেই আদালতে হাজির করিয়ে ১৪ দিনের হেফাজত চাইবে পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার অডিও প্রকাশ্যে এনে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, ‘জুনিয়র চিকিৎসকদের ওপর হামলা ছক করা হচ্ছে। আর এই ঘটনার পুরো দোষটা সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চলছে।’ পাশাপাশি কুণাল দাবি করেছিলেন, এই হামলার ঘটনার অভিযুক্তের মধ্যে একজন বাম যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং অপরজন অতি বাম যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত । আর এবার প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদের অনুমানই হল সত্য। এই হামলার ছক কষেছিল বাম কর্মীরাই।