চার দশক পর পোল্যান্ড সফরে গিয়েছেন ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী। এই সফরে মোদির কূটনীতির অন্যতম অঙ্গ কবাডি। কারণ পোল্যান্ডে কবাডি জনপ্রিয় খেলা। আবার বিগত কয়েক বছরে ভারতে প্রো কবাডি লিগের মাধ্যমে নতুন করে এই খেলায় জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করেছে। ফলে কাবাডির মাধ্যমে ভারত-পোল্যান্ড সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে উদ্যোগী হলেন নরেন্দ্র মোদি। পোল্যান্ডে কডাবি খেলার জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান, এমনকি পোলিশরা বর্তমানে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন। পোল্যান্ড সফরে মোদি সাক্ষাৎ করলেন সেই দেশের কবাডি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট মিচাল স্পিকজোর সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পোল্যান্ডের পুরুষ ও মহিলা কাবাডি দলের অধিনায়কদের সঙ্গেও দেখা করেন।
মোদি তাঁর বক্তব্যে কবাডির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেন, “ভারত ও পোল্যান্ড কাবাডি খেলার মাধ্যমে সংযুক্ত। ভারত থেকেই এই খেলাটি পোল্যান্ডে এসেছিল, এরপর থেকে এই খেলায় পোল্যান্ড অনেক উন্নতি করেছে। প্রথমবারের জন্য কবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে যাচ্ছে পোল্যান্ড। আমি পোল্যান্ড দলকে এই প্রতিযোগিতার জন্য শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।” পোল্যান্ড কবাডি সংস্থার বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিচাল স্পিকজো খেলতে এসেছিলেন ভারতের প্রো কবাডি লিগেও। তিনিই প্রথম ইউরোপিয়ান যিনি প্রো কবাডি লিগে খেলতে এসেছিলেন। মিচাল স্পিকজো প্রো কবাডি লিগে দুই মরশুম খেলার পাশাপাশি ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত কবাডির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন।
তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ও নিজের বক্তব্য পোস্ট করেছেন মোদী।প্রধানমন্ত্রী ভারত ও পোল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধিতে খেলাধুলার ভূমিকা তুলে ধরেন। নমো লিখেছেন, “কবাডির মাধ্যমেও আমাদের একে-অপরের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। এই খেলাটা ভারত থেকে পোল্যান্ডে এসেছে। আজ তাঁরা একে আরও বড় উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।” একইসঙ্গে মোদী বলেন, একটি প্রাণবন্ত ক্রীড়া সংযোগ উদযাপন করা হচ্ছে। পোল্যান্ড সফরে আমি মিচাল স্পিকজো এবং আনা কালবারকজিকের সাথে দেখা করেছি, যারা বিখ্যাত কবাডি খেলোয়াড়। পোল্যান্ডে এই খেলাটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। আমরা আলোচনা করেছি যে কীভাবে পোল্যান্ডে এই খেলাটিকে আরও জনপ্রিয় করা যায়। ভারত এবং পোল্যান্ডের মধ্যে আরও টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়েও কথা হয়েছে।