আরজি করে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে গত এক মাস ধরেই কর্মবিরতি শামিল হয়েছেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, যতদিন না পর্যন্ত সুবিচার মিলবে, ততদিন তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। তাঁদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তাতে সাড়া না দিয়ে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের কর্মবিরতিতে রীতিমতো ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা। ইতিমধ্যে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গিয়েছেন তেইশজন। সরকারি হাসপাতালে পরিষেবার অভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেন না বহু মানুষ। সোমবার আরজি কর মামলায় শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয় জুনিয়ার চিকিৎসকরা যদি মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে যোগ না দেন, তাহলে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ নিতে পারবে। নচেত তারা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। এদিন শীর্ষ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানি হয়। আন্দোলনকারী ডাক্তারদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী গীতা লুথরা। আইনজীবী জানান শুধু কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলা হাসপাতালেও জুনিয়র ডাক্তাররা হুমকির মুখে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না হলে তাঁরা কাজ করতে পারছেন না। কর্মবিরতি প্রসঙ্গে লুথরা বলেন, সিনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন। ফলে পরিষেবা ব্যাহত হয়নি।