পদ্ম ফুলের বীজ থেকে তৈরি, মাখনা কেবল সুস্বাদু নয়, বরং এটি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় মাখনা অন্তর্ভুক্ত করলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দূরে রাখা সম্ভব।
মাখনার পুষ্টিগুণ:
মাখনা প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, লোহা, এবং জিঙ্ক-এর একটি ভালো উৎস।
এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও প্রচুর পরিমাণে থাকে যা কোষের ক্ষতি রোধে সাহায্য করে।
মাখনা গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে কম, যার মানে হল এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায় না।
মাখনার উপকারিতা:
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: মাখনায় ফাইবার ও প্রোটিন থাকায় দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং ক্ষুধা কমায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
হজমশক্তি উন্নত করে: মাখনার ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: মাখনা “খারাপ” কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে এবং “ভালো” কোলেস্টেরল (HDL) বাড়াতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: মাখনায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
হাড় ও দাঁত মজবুত করে: মাখনায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: মাখনায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি রোধে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উপকারী: মাখনায় থাকা ফোলেট গর্ভবতী মহিলাদের শিশুর জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মাখনা কীভাবে খাবেন:
মাখনা ভেজে, ঝাল-মশলা দিয়ে খেতে পারেন।
লাড্ডু, বরফি, পায়েস ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন।
স্যুপ ও সালাদে মাখনা যোগ করতে পারেন।
নাস্তা হিসেবে শুকনো মাখনা খেতে পারেন।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
যাদের কিডনিতে পাথর আছে তাদের মাখনা সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।
অ্যালার্জি থাকলে মাখনা খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।