আরজি কর কাণ্ডে ধর্ষিতা ও খুন হওয়া তরুণীর দেহে চোদ্দটি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। অটোপ্সি রিপোর্টে এ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা রিপোর্টে মৃত্যুর আগে ওই আঘাতগুলি করা হয়েছিল। অটোপ্সি রিপোর্টে জানানো হয়েছে তরুণী চিকিৎসকের দেহে যৌন হেনস্থার হদিশ মিলেছে। তবে এর আগে মৃতার শরীরে দেড়শো গ্রাম শুক্রাণু পাওয়া গিয়েছিল বলে হাইকোর্টে মৃতার পরিবারের তরফ থেকে যে দাবি করা হয়েছিল, সেই দাবির প্রমাণ মেলেনি বলে অটোপ্সি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে। তবে শরীরে যে তরল আঠালো পদার্থ পাওয়া গিয়েছিল, সেই তরল আঠালো পদার্থটি কি, তা জানা যায়নি। অটোপ্সি রিপোর্টে জানানো হয়েছে যৌনাঙ্গের ওজন ১৫১ গ্রাম। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে দেশের বিভিন্ন অংশের ওজন স্বাভাবিকভাবেই জানানো হয়ে থাকে। তবে কোনও হাড়ের ভেঙে যাওয়ার কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। মৃতার শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন মাথা,চিবুক, ঠোঁট, নাক.ডান চোয়াল, থুতনি, ঘাড়, বাঁ হাত, বাঁদিকের ঘাড়, বাঁ কনুই ও যোনির ভেতরের অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। রিপোর্টে ফুসফুসে রক্তক্ষরণ ও শরীরের অন্যান্য অংশে রক্তজমাট বাঁধার বিযয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চার তলার সেমিনারে তাঁর দেহ পাওয়া যায়।