রাত ১১টায় আর পাওয়া যাবে না শেষ মেট্রো। যথেষ্ট যাত্রী না হওয়ায় শেষ মেট্রোর সময় এগিয়ে আনা হল বলে মেট্রো রেলের তরফে জানানো হয়েছে। আপাতত দক্ষিণেশ্বর ও নিউ গড়িয়া থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। এর আগের মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪০-এ। শেষ মেট্রোর সময় খোলা থাকবে না টিকিট কাউন্টার। শুধুমাত্র স্মার্ট কার্ড এবং ইউপিআই পেমেন্ট মোডে টিকিট কেটে যাতায়াত করতে পারবেন মেট্রো যাত্রীরা।
আগামী সোমবার অর্থাৎ ২৪ জুন থেকে চালু হবে এই নতুন নিয়ম। ২০ মিনিট এগিয়ে ব্লু লাইনের রাত্রিকালীন বিশেষ মেট্রোর সময়। কারণ হিসাবে মেট্রো জানিয়েছে, ‘মাত্রাতিরিক্ত খরচ’ এবং তুলনায় ‘খুবই কম আয়’-এর কথা। মেট্রোর এই বিশেষ পরিষেবা নিয়ে খুশি ছিলেন না মেট্রো যাত্রীরা। মেট্রোযাত্রীদের বক্তব্য অনুযায়ী এই বিশেষ পরিষেবায় তাদের বিশেষ অসুবিধায় পড়তে হয়। ৯:৪০ এর মেট্রো না পেলে তাদের এক ঘন্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় ১১ টার মেট্রোর জন্য।
যাত্রীদের একাংশের মতে, শেষ মেট্রো এবং রাতের বিশেষ মেট্রোর মধ্যে সময়ের এতটা ফারাক থাকলে আদতে যাত্রীদের কোনও লাভ হয় না। দমদমের বাসিন্দা বরুণ দাস বলেন, ‘‘মেট্রো কর্তৃপক্ষ যদি সত্যিই যাত্রীদের সুবিধার কথা ভাবেন, তা হলে তাঁদের ৯টা ৪৫-এর পরে অত দেরিতে বিশেষ মেট্রো না চালিয়ে আরও আগে এগিয়ে আনা উচিত। সেটা ১০টা, বড়জোর সওয়া ১০টা হতে পারে। তার বেশি হলে যাত্রীদের উপকার তো হবেই না, বরং বিরক্তি তৈরি হবে।’’
মেট্রো কর্তৃপক্ষ প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই ট্রেন চালানোর জন্য প্রতি স্টেশনে কাউন্টার খোলা রাখতে হচ্ছিল রাত পর্যন্ত। অথচ দেখা যাচ্ছে, ‘‘অধিকাংশ স্টেশনে গড়ে মাত্র ১ বা ২ টি টোকেন বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এই সময়ে টোকেন বিক্রির হারও খুবই কম।’’ এই সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী ২৪ জুন থেকে কবি সুভাষ এবং দমদম থেকে শেষ মেট্রো রওনা হবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে। মেট্রো আরও জানিয়েছে, ‘‘সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত এই পরিষেবা চলাকালীন স্টেশনে কোনও টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে না। যাত্রীদের ইউপিআই পেমেন্ট মোডের মাধ্যমে স্টেশনে বসানো এএসসিআরএম মেশিন থেকে টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়া স্মার্ট কার্ডের সুবিধা তো থাকবেই।’’