অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হয়! অবিশ্বাস্যহলেও সত্যি। আর এই উজ্জ্বল উত্থান যে কারো কাছেঅনুপ্রেরণা হতেই পারে। যার কথা বলা হচ্ছে, তাঁর নাম সাহিল সিং। একসময় ছিলেন সুইগিরডেলিভারি এজেন্ট। বাইক নিয়ে অনলাইন অর্ডার বাড়ি বাড়ি দিয়ে রোজগার করতেন। যারোজগার করতেন, তা দিয়েই দিন চলতো তাঁর। কিন্তু সেই মামুলি ডেলিভারি এজেন্টই এখনরীতিমতো গ্ল্যামারাস ফ্যাশন মডেল। ফ্যাশন ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে আকছার তাঁর ছবিদেখতে পাওয়া যায়। ফ্যাশন দুনিয়ায় তিনি বেশ জবরদস্ত মডেল। রোজগারও বেড়েছে অনেক। পোস্ট করা ভিডিওয় ফ্যাশন মডেল সাহিল জানিয়েছেন দু বছর আগে তিনি সুইগিতেডেলিভারি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। এরপর বার্গার কিং-এ শেফেরও কাজ করেন। আটমাস কাজকরেছেন ম্যাঙ্গো মার্টে। আর তার পরেই স্বপ্নের দেশে শুরু হয়ে যায় অবাধ বিচরণ।ভিডিওয় তিনি লিখেছেন ডেলিভারি বয় টু সেলস এগজিকিউটিভ টু মডেল। জানিয়েছেন স্কুলছাড়ার পর নানাধরণের অদ্ভুত অদ্ভুত কাজ করেছেন তিনি। সুইগির ডেলিভারি এজেন্টহিসেবে মাসে কুড়িয়ে বাড়িয়ে আঠেরো হাজার টাকা থেকে বাইশ হাজার টাকা পর্যন্তরোজগার করতেন। সুইগির ডেলিভারি এজেন্ট থেকে ফ্যাশন মডেল হতে তাঁর কয়েক বছরলেগেছিল। একদিন তিনি একটি পোস্টার দেখেছিলেন। সালটা ছিল ২০০৯। পোস্টারটা দেখে তাঁর তক্ষুণি মনে হয়েছিল তিনি যেরকমটাচান, ঠিক যেন সে কথাই লেখা রয়েছে ওই পোস্টারটিতে। সেসময় তিনি রাস্তার ধারে ওয়ালেটবিক্রি করতেন। ২০১৭ সালের পর থেকে সাহিল একটু একটু করে শিখেছিলেন ফ্যাশন জগতে পারাখতে গেলে কীভাবে পা ফেলতে হয়। মোট দুশোটি অডিশন দিয়েছিলেন তিনি। এ বছর রাম্পেহাঁটার জন্য স্ট্রিক্স তাঁকে সুযোগ দেয়। নিজের সাফল্যের কথা বলতে গিয়ে তাঁর নিজেরকিছু কিছু খামতির কথাও স্বীকার করেছেন সাহিল। জানান তাঁর উচ্চতা পাঁচ ফুট দশইঞ্চি। সব ফ্যাশন মডেলই তাঁর চেয়ে লম্বা। নিজের খামতির কথা জানিয়ে তাঁকে সুযোগদেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন স্ট্রিক্সকে। অনেক বলার পর তারা শেষমেশ রাজি হয়। তবে শর্তদেয় তাঁকে রাম্পে হিল পরে হাঁটতে হবে। তাতেই রাজি হয়ে যান সাহিল। বাকিটা ছোটখাটোইতিহাস।