আরজি কর-কাণ্ডে তোলপাড় বাংলা। ঘটনার কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। এখনও বিচার পায়নি ‘অভয়া’। এই অবস্থায় চড়ছে রাজনৈতিক বিতর্ক। আর এর মধ্যেই ফের একবার পথে নামছে বিজেপি। বুধবার বাংলা বনধ ডাকে বিজেপি। গোটা বাংলাজুড়ে যার মিশ্র প্রভাব পড়ে। আর এরপরে বৃহস্পতিবার থেকে ফের পথে নামছে বিজেপি। ধর্মতলায় থেকে ৭ দিনের ধর্নার ডাক সুকান্ত মজুমদারের। আর এই মিছিল ঘিরে শুরু হয়েছে তরজা। বুধবার রাতে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে এই মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়। কিন্তু তা তৈরি করতে কলকাতা পুলিশের তরফে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
মঞ্চ তৈরি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি নেতা তমঘ্ন ঘোষ জানান, ‘পুলিশ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশও মানছে না। ডোরিনা ক্রশিং কিংবা ওয়াই চ্যানেলে ধর্না করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতোই ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধর্নামঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়। কিন্তু পুলিশ তা করতে বাধা দেয়। এমনকি সেখান থেকে মঞ্চ সরিয়ে যাতে ওয়াই চ্যানেল করার কথা বলা হচ্ছে। এমনকি মঞ্চ ছোট করার কথাও বলা হয়।’ কিন্তু বিজেপির দাবি, ডোরিনা ক্রসিংয়ে ধর্নামঞ্চ বেঁধেই আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে।
আজ ২৯ আগস্ট অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির ধরনা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয় বিজেপির তরফে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ একাধিক শীর্ষ নেতা এই আন্দোলনে সামিল হওয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও এই আন্দোলনে অনুমতি প্রথমে দেয়নি কলকাতা পুলিশ। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিজেপির ধরনায় অনুমতি দেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। এরপরেই শুরু হয় প্রস্তুতি। অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার পথে নামছেন অধীর চৌধুরী। কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল শুরু হবে। ফলে এদিন ফের একবার একের পর এক রাজনৈতিক দলের মিটিং মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল হতে পারে কলকাতা। একের পর এক মিছিলকে কেন্দ্র করে সতর্ক কলকাতা পুলিশ। আজ বুধবারও বিশাল পুলিশ বাহিনীকে মোতায়েন করা হচ্ছে।