ভোটে জিতে সাংসদ হয়েও দলের রাজ্য নেতৃত্বের দিকে কামান দেগেছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। রাজ্যে দলের ভরাডুবি নিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ দিল্লি নেতৃত্বকে। আক্রমণের মাঝেই দুদিন আগে বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কের পা ছুঁয়ে প্রণাম করে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু তার উল্টোদিকে হেঁটে নবাগতার কাছে হেরেও দমেননি হুগলির পরাজিত সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। ডাক দিয়েছেন দলের সংগঠনকে মজবুত করার। আর সেকথা মাথায় রেখে জেলার সাংগঠনিক কার্যালয়ে বৈঠক করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকের পর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে লেখেন বড় সফলতার বীজ হারের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দেখা যায় ভোটে হারের পর প্রার্থীরা সংগঠন বা গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে সরব হন। পরাজিত বিজেপি প্রার্থীকে হারের কারণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছিল তবে কি অন্তর্ঘাতের ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন পরাজিত বিজেপি প্রার্থী? হারের পর কাঠিবাজি নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। আশঙ্কা করা হচ্ছিল লকেটও সেভাবে সরব হবেন। কিন্তু সেদিকে না পা দিয়ে বুধবারের বৈঠকের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় কর্মীদের বার্তা দেন তিনি। সবমিলিয়ে হারের পর প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তায় দলের প্রতি আনুগত্যে অন্য অঙ্ক খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।