ভারতে দশটি ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনা, কবে কখন কোথায় ঘটেছিল
সোমবার দার্জিলিংয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে নজনের। জখম বহু। অনেকেই হারিয়েছেন তাদের প্রিয়জনকে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। এসব চর্চা,তল্লাশের মধ্যে একবার জেনে নেওয়া যাক ভারতে দশটি ভয়ঙ্কর রেলদুর্ঘটনার কথা, যা জানলে নির্ঘাত শিউরে উঠতে হবে।
সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল বিহারে। ১৯৮১ সালের ৬ জুনে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৮০০জনের। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তা নিয়ে নানারকম তত্ত্ব শোনা গিয়েছিল। একটি তত্ত্ব সাইক্লোন হওয়ায় ট্রেনচালক আচমকা ব্রেক কষেন। ট্রেন সোজা গিয়ে নদীতে পড়ে। ৮০০জনের সলিল সমাধি হয়। আরেকটি তত্ত্ব ছিল দ্রুত গতিতে ট্রেনটি চলার সময় রেললাইনে মোষ চলে আসে। তাদের বাঁচাতে হঠাৎ ব্রেক কষেন চালক। ট্রেনটি গিয়ে পড়ে নদীতে। মারা যায় ৮০০ যাত্রী।
পরের দুর্ঘটনাটি ঘটে ফিরোজাবাদের কাছে। দিল্লিগামী পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস ধাক্কা মারে সামনে ট্রেন লাইন দিয়ে এগোনো কালিন্দী এক্সপ্রেসের পেছনে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩৫৮জনের। এরপর গাইসলে নর্থ ফ্রন্টিয়ার ট্রেনের সঙ্গে কাটিহার অবধ এক্সপ্রেসের সঙ্ঘর্ষে মৃত্যু হয় ২৫৮জনের। এরপরের দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৯৮ সালের ২৬ নভেম্বর পঞ্জাবে কান্নায় দুর্ঘটনায় পড়ে ফ্রন্টিয়ার গোল্ডেন এক্সপ্রেস। রেলের ট্র্যাক ভাঙা থাকায় লাইনচ্যুত হয় ট্রেন। সেসময় পেছন থেকে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস ধাক্কা মারে। দুমড়ে মুছড়ে যায় ছটি কামরা। মৃত্যু হয় ২১২ জনের।
২০১০ সালে জ্ঞানেশ্বরী সুপার ডিলাক্স এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ ঘটে মৃত্যু হয় ১৭০জনের। বিস্ফোরণের পেছনে মাওবাদীদের হাত ছিল বলে জানা গিয়েছে। ২০১২ সালের ন সেপ্টেম্বর গয়া ডেহরি অন শনে ব্রিটিশ আমলে তৈরি রেললাইনে ফাটল ধরায় লাইনচ্যুত হয় হাওড়া-নিউ দিল্লি এক্সপ্রেস। ম্যানুয়ার ফল্টের জন্য দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। মৃত্যু হয় ১৪০জনের। এর অনেক বছর আগে ১৯৫৪ সালে হায়দ্রাবাদ থেকে ১৫০কিলোমিটার দূরে যশস্বী নদীর ওপর সেতু ভেঙে পড়ায় ট্রেন সোজা গিয়ে পড়ে নদীতে। মৃত্যু হয় ১৩৯ জনের। দুবছর পরে ১৯৫৬ সালে ওই হায়দ্রাবাদের মেহবুবনগর ও জাদচেরনার কাছে সেতু ভেঙে নদীতে পড়ে যায় ট্রেন। মৃত্যু হয় ১২৫জনের। স্বাধীনতার আগে ১৯৩৭সালে কলকাতা থেকে আসা ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১২৯জনের।