প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বুধবার বিহারের রাজগিরে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়-র নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করলেন। এদিন তিনি নতুন ক্যাম্পাসের একটি ফলক উন্মোচন করেন। সেই ফলক উন্মোচনের পর নিজের বক্তব্যে তিনি জানান, ‘নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়-র প্রাচীন ঐতিহ্য ভারতকে মহিমান্বিত করেছে। শিক্ষা সংস্কৃতিতে বর্হিবিশ্বে ভারতের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছিল নালন্দা।’
ভারত এবং ইস্ট এশিয়া সামিট (ইএএস) দেশগুলির যৌথ উদ্যোগে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, বিহারের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকর, মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। মোট ১৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতরাও এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই ক্যাম্পাসে দুটি অ্যাকাডেমিক ব্লক রয়েছে। তার প্রতিটিতে ৪০টি করে শ্রেণিকক্ষ আছে। প্রায় ১ হাজার ৯০০জন ছাত্রছাত্রী এখানে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও ৩০০ আসন বিশিষ্ট দুটি প্রেক্ষাগৃহ-ও তৈরি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ৰাবাসে ৫৫০জন শিক্ষার্থী থাকতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি সম্পূর্ণরূপে পরিবেশ বান্ধব। এখান থেকে কোনও কার্বন নিঃসৃত হবে না। নিজস্ব সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও এখানে রয়েছে পানীয় জল পরিশোধনের কেন্দ্র এবং বর্জ্য জল পুনর্ব্যবহারের কেন্দ্র। পাশাপাশি এখানে ১০০ একরের জলাভূমিও রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, মূল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছিল ১৬০০ বছর আগে। মতান্তরে, এটিই ছিল বিশ্বের প্রথম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৬ সালে নালন্দার ধ্বংসাবশেষকে রাষ্ট্রসংঘ (ইউএন)-র তরফ থেকে ‘ঐতিহ্যবাহী স্থান’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
