রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। সেই মামলায় জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আর্জি জানায় জ্যোতিপ্রিয়, সেই জামিনের বিরোধিতা করে আদালতের কাছে সময় চাইল ইডি। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ ইডি কে চার দিন সময় দিয়েছেন। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। জ্যোতিপ্রিয়ের পরিবার একাধিকবার আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কিন্তু জামিন মঞ্জুর করেনি আদালত।
এমনিতেই সুগার এবং প্রেশার জনিত সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছেন তিনি। গত এপ্রিল মাসে গরমের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়, ডেকে পাঠানো হয় জেলের চিকিৎসকদের। তৃণমূলের একটি সূত্র মারফত জানা যায়, জামিন পেতেই তাঁর পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জ্যোতিপ্রিয়কে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদনে সারা দিয়েই ১৬ই ফেব্রুয়ারি রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। কিন্তু তারপরেও জামিন মেলেনি। গত এপ্রিলে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেয় ইডি। ২০১৪-১৫ সালে রেশন দুর্নীতির ৩৫০ কোটি টাকা দুবাইয়ে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ হয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ ওঠে বালু ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস এবং তাঁর বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় সংস্থার বিরুদ্ধে।
সল্টলেক থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বিশ্বজিৎকে যিনি ২০০০ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের কর্মচারী ছিলেন। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বালুর মাধ্যমে টাকা শঙ্করকে পৌঁছে দিতেন বিশ্বজিৎ। শঙ্করের কাছে বালুর যে টাকা পৌঁছত, তা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রায় বদলে ফেলা হত। পাচার করে দেওয়া হত দুবাইয়ে। সেই কাজেও প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগিতা করতেন বিশ্বজিৎ। ইডি দাবি করে, বালুর যে ২০০০ কোটি টাকা শঙ্করের মাধ্যমে দুবাই পাঠানো হয়েছে, সেই টাকার একটা অংশ দুবাইয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ।