প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অধীর চৌধুরী। শুকর্বার বিকেলে কংগ্রেসের রাজ্য শাখার কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর ইস্তফা জমা দেন তিনি। বৈঠকে গত লোকসভা ভোটে দলের খারাপ ফলের কারণ খতিয়ে দেখতে ওই বৈঠক হয়। তারপরই ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি। তবে তাঁর ইস্তফা গৃহীত হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি। যদিও তাঁর বদলে পরবর্তী প্রদেশ সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তাঁর ইস্তফার বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে অধীর জানিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি হওয়ার পর থেকে কোনও রাজ্য সভাপতি নিযুক্ত হননি।
এরপর পূর্ণসময়ের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সবাই জানতে পারবেন। তবে ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা ইউপিএ সরকারের প্রাক্তনমন্ত্রী পি চিদম্বরম দেখা করার চব্বিশ ঘণ্টা পরই অধীর ইস্তফা দেন। নব্বানে মমতার সঙ্গে আধঘণ্টার বেশি কথা বলেন চিদম্বরম। এবারের লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা ইউসুফ পাঠানোর কাছে হেরে যান পাঁচ বছরের সাংসদ অধীর।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক নিয়ে তাঁর সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা দেয়। বরাবরই লোকসভা সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামেদের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে সরব ছিলেন। এনিয়ে খাড়গের সঙ্গে বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদের মতপার্থক্য দেখা দেয়।