গ্রীষ্মের এই সময়, বাজারে ভরপুর কাঁঠাল। মিষ্টি, সুস্বাদু এই ফল শুধু সুস্বাদুই নয়, এর বীজও ভরপুর পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। অনেকেই হয়তো জানেন না, কাঁঠালের বীজ নিয়মিত খেলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কাঁঠালের বীজে কী আছে?
প্রোটিন: কাঁঠালের বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।
ফাইবার: এতে প্রচুর ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ও খনিজ: কাঁঠালের বীজ ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং খনিজ পদার্থ যেমন আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, এবং জিঙ্ক-এর ভালো উৎস।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে মুক্ত র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
কাঁঠালের বীজ কোন রোগের ঝুঁকি কমায়?
হৃদরোগ: কাঁঠালের বীজে থাকা ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস: কাঁঠালের বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার: কাঁঠালের বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করে।
হজমশক্তি: কাঁঠালের বীজে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
চোখের স্বাস্থ্য: কাঁঠালের বীজে ভিটামিন এ থাকে যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ত্বকের স্বাস্থ্য: কাঁঠালের বীজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
কাঁঠালের বীজ কীভাবে খাবেন?
কাঁঠালের বীজ ভেজে, শুঁকিয়ে, বা বীজ ভেঙে গুঁড়ো করে খাওয়া যায়। এছাড়াও, কাঁঠালের বীজ দিয়ে বিভিন্ন রকমের খাবার তৈরি করা যায়, যেমন বীজের ভর্তা, বীজের তরকারি, বীজের পায়েস ইত্যাদি।
পরিশেষে, বলা যায়, কাঁঠালের বীজ শুধু খাবার নয়, ওষুধও। নিয়মিত কাঁঠালের বীজ খেলে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমিয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব। তবে, কোন রোগের জন্য কত পরিমাণে কাঁঠালের বীজ খাবেন সে সম্পর্কে জানতে একজন