গরমের দিনে ঘামে ভেজা পা আর অপরিষ্কার মোজা – এই দুটি মিলিত হলেই পায়ে দুর্গন্ধের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন, তবে লজ্জার কারণে অনেকেই ডাক্তারের কাছে যেতে চান না।
এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করবো পায়ের দুর্গন্ধের কারণ, লক্ষণ এবং নিরাময়ের উপায় সম্পর্কে।
কারণ:
পায়ের ঘাম: বেশি ঘাম হলে ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়াগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
অপরিষ্কার মোজা: দীর্ঘক্ষণ একই মোজা পরে থাকলে তাতে ব্যাকটেরিয়া জমে দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
অস্বাস্থ্যকর জুতা: এমন জুতা যা বাতাস চলাচল করে না, তাতে পায়ের ঘাম জমে দুর্গন্ধ হতে পারে।
ফাঙ্গাস সংক্রমণ: ‘অ্যাথলেট’স ফুট’ নামক ছত্রাক সংক্রমণের ফলেও পায়ের দুর্গন্ধ হতে পারে।
অন্যান্য কারণ: কিছুক্ষেত্রে, থাইরয়েড সমস্যা, ডায়াবেটিস কিংবা কিডনি রোগের কারণেও পায়ের দুর্গন্ধ হতে পারে।
লক্ষণ:
পায়ের ত্বক লালচে বা ভেজা ভেজা থাকা
পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে চুলকানি
জুতো খুললে তীব্র দুর্গন্ধ বের হওয়া
পায়ের ত্বক ফাটা বা ঘाव হওয়া
নিরাময়:
পায়ের যত্ন: প্রতিদিন সাবান ও পানি দিয়ে পা পরিষ্কার করুন। ভালো করে শুকিয়ে নিন।
মোজা পরিবর্তন: প্রতিদিন নতুন মোজা পরুন। সুতির মোজা ব্যবহার করা ভালো।
জুতার যত্ন: নিয়মিত জুতা পরিষ্কার করুন। বাতাস চলাচল করে এমন জুতা ব্যবহার করুন।
অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ: ‘অ্যাথলেট’স ফুট’-এর জন্য অ্যান্টিফাঙ্গাল ক্রিম বা পাউডার ব্যবহার করুন।
ডাক্তারের পরামর্শ: দীর্ঘস্থায়ী দুর্গন্ধ বা অন্যান্য লক্ষণ থাকলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রতিরোধ:
পায়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: প্রতিদিন নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে পা ধুয়ে শুকিয়ে নিন।
মোজার যত্ন: সুতির তৈরি, শোষণশীল মোজা ব্যবহার করুন। প্রতিদিন নতুন মোজা পরুন।
জুতার যত্ন: বাতাস চলাচল করে এমন জুতা ব্যবহার করুন। নিয়মিত জুতা পরিষ্কার করুন।
পায়ের শুষ্কতা: পা শুষ্ক রাখুন। ভেজা জুতা বা মোজা দীর্ঘক্ষণ পরবেন না।