চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতি-শুক্রবার করেই কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। শুক্রবার সাত সকালেই কলকাতায় ফিরেছেন বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের পর তিনি রাজনীতি থেকে সাময়িক ছুটি নিয়েছিলেন। তাই বেশ কিছুদিন ধরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ তাঁকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বেরতে দেখা যায়। ইমিগ্রেশন দফতর সূত্রের খবর, নরওয়ে থেকে দুবাই ফেরেন অভিষেক। দুবাই থেকে চার্টার্ড বিমানে কলকাতায় ফিরেছেন তিনি। বিমানবন্দরের গেট দিয়ে বেরিয়ে সোজা গাড়িতে উঠে যান অভিষেক। সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও কথা বলেননি তিনি। গাড়ির সঙ্গে কোনও কনভয়ও ছিল না এদিন। তাঁর সঙ্গে আর কাউকে দেখা যায়নি।
এদিকে অভিষেকের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিলের আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে একটি মামলা। সেখানেই এই কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের আবেদন জানানোও হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছেন তিনি। আদালতে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী অভিজিৎ দাসে দাবি, নির্বাচনের দিন বহু জায়গায় ইভিএম-এ বিজেপির প্রতীক ঢেকে দেওয়া হয়েছিল, এমনকি বহু বুথে সিসিটিভির মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই তিনি সিসিটিভির ফরেনসিক পরীক্ষারও দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মামলাকারীর বক্তব্য, ভোটারদের ভয় দেখানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে হুমকিও। গণনাকেন্দ্রে ঢুকে বিজেপির এজেন্টদের মারধরের অভিযোগও করেছেন তিনি। ভোটের দিন নানা জায়গায় এই অভিজিৎকেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। ডায়মন্ডহারবারের মোট ৪৭০টি বুথে পুনর্নির্বাচনের আবেদন করেছেন এই বিজেপি প্রার্থী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও ভোটের পরে পরেই অভিজিৎ একই দাবি জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কাছেও। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ভোট শান্তিপূর্ণই হয়েছে এই লোকসভা কেন্দ্রে। ২০০৯ ও ২০১৪ সালেও ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েন অভিজিৎ। এবারও তাঁকেই প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তবে ডায়মন্ডহারবার বরাবরই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এই কেন্দ্রের তিনবারের সাংসদ। এবার প্রায় ১০ লক্ষ ভোট পেয়েছেন তিনি। বিজেপির অভিজিৎকে হারিয়েছেন প্রায় ৭ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে। সেই সব না মেনে এখন অভিজিৎ মামলা দায়ের করলেন কলকাতা হাইকোর্টে।