শনিবার অর্থাৎ ২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। বৈঠকে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বক্তব্য রাখতে শুরু করার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসেন ক্ষুব্ধ মমতা। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে এসে তিনি জানান বৈঠকে ডেকে তাঁকে অপমান করা হয়েছে, এবং সেই কারণেই বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে যান তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, তাঁর আগে বক্তব্য রাখা অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের স্বার্থে বাংলার স্বার্থে রাজ্যগুলির স্বার্থে আমি এখানে এসেছিলাম। বিরোধী পক্ষের অন্য কেউ আসেনি। আমি একা এসেছিলাম। আপনারা বাজেটে আমাদের বঞ্চনা করেছেন, বাংলার সমস্ত দলের উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছেন। আপনারা বিরোধীদের কোনও সুযোগ দেন না। তিন বছর ধরে সব উন্নয়ন বন্ধ। গত বছর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা পাই। বাজেটে এ বছরও শূন্য। এইটুকু বলার পরই আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি তখন বললাম আমার মাইক কেন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে? এটা আমাকে অপমান করা হল। সব বিরোধী দলকেই অপমান করা হল। এর পরে আর আমার এখানে থাকা সম্ভব নয়, আমি চললাম।’